বিষয় নং-১১: রাসূল (ﷺ)-এর সুচিতা দাঁত মোবারক থেকে জ্যোতি প্রকাশ:


‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ গ্রন্থের ৩২০ পৃষ্ঠায় ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাসূল (ﷺ) এর দাঁত মোবারক হতে নূর প্রকাশ পেতো এই বিষয়টি কৌশলে ইনকার করেছেন। এগুলো নাকি মিথ্যা কাহিনী এবং শুধুমাত্র “মা’আরিজুন নবুওয়াত” নামক গ্রন্থ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থে পাওয়া যায় না। তারপর তিনি লিখেছেন-‘‘কাজেই এ সকল বইয়ের সব কথার উপরে শুধু ঘুমন্ত বা ক্লান্ত (অজ্ঞ বা অসচেতন) মানুষেরাই নির্ভর করতে পারে।’’ তার উক্ত জঘন্য বক্তব্যের জবাবে আমি কতিপয় দলিল উপস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, পাঠকগণ আমাদের দলিল দেখেই অনুধাবন করবেন বলে আশাবাদী কার বক্তব্য সঠিক। 

একটি হাদিস ও পর্যালোচনা:


প্রথম সূত্র: 


ইমাম দারেমী (رحمة الله) এবং ইমাম তিরমিযি (رحمة الله)সহ আরও অনেকে ইমাম সংকলন করেন-

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ابْنُ أَخِي مُوسَى، عَنْ عَمِّهِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؓ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ، إِذَا تَكَلَّمَ رُئِيَ كَالنُّورِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ

-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এর সামনের দন্ত মোবারক প্রশস্ত ছিল। যখন তিনি কথা বলতেন তখন তাঁর দন্ত সমূহ থেকে নূর (আলো) বের হতো।’’  ১৪৮

১৪৮. ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুওয়াত : ১/২১৫ পৃ., ইমাম তিরমিযী : শামায়েলে তিরমিযী : ১২ পৃ., হা/১৪, ইমাম বাগভী : শরহে সুন্নাহ : ১৩/২২৩ পৃ. হা/৩৬৪৪, খতিব তিবরিযী : মিশকাতুল মাসাবিহ : ৪/৫১৮ পৃ. হা/৫৭৯৭, ইমাম দারেমী : আস্-সুনান : ১/২০৩পৃ. হা/৫৯, ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতি : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১১১প, হা/২৮৪, আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন : ৬৬৩ পৃ., ইমাম ইবনে আসাকীর : তারীখে দামেস্ক : ২/৫৭ পৃ., ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২৭৯ পৃ., ইমাম তাবরানী : মু‘জামুল আওসাত : হা/৩৫৬৩, আল্লামা ইবনে কাসীর : বেদায়া ওয়ান নেহায়া : ৬/২৫ পৃ., ইমাম তাবরানী, মু’জামুল কাবীর : ১১/৪১৬ পৃ. হা/১২১৮১, উমর ইবনে শাবাহ (ওফাত.২৬২হি.), তারিখে মাদিনা, ২/৬১০পৃ. যিয়া মুকাদ্দাসী, আহাদিসুল মুখতার, ১৩/৪৮পৃ. হা/৭০-৭১, ইমাম কাস্তাল্লানী, মাওয়াহিবুল্লাদুনিয়্যাহ, ২/১৯ পৃ., 


সনদ পর্যালোচনা: 


● এ হাদিসটি উক্ত সাহাবি থেকে দু‘টি সূত্রে বর্ণিত আছে। তিরমিযি, দারেমী এবং তাবরানীর সংকলিত সনদ সম্পর্কে হাইসামী  তাঁর মাযমাউদ যাওয়াইদ গ্রন্থে বলেন- 

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الْأَوْسَطِ، وَفِيهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ وَهُوَ ضَعِيفٌ.

-‘‘হাদিসটি তাবরানী তার মু‘জামুল আওসাত নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, আর সনদে ‘আবদুল আজিজ বিন আবি সাবিত’ রাবী রয়েছেন, আর তিনি বর্ণনাকারী হিসেবে দুর্বল।’’ ১৪৯

১৪৯. ইবনে হাজার হাইসামী : মাযমাউয যাওয়াইদ : ৮/২৭৯পৃ. হা/১৪০৩১


● ইমাম হাইসামী (رحمة الله) উক্ত রাবী সম্পর্কে আরেক স্থানে লিখেন-

وَفِيهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، وَهُوَ مُجْمَعٌ عَلَى ضَعْفِهِ.

-‘‘এ সনদে ‘আবদুল আজিজ বিন আবি সাবিত’ রয়েছেন, আর সে দুর্বল হওয়ার বিষয়ে সবাই একমত।’’১৫০

১৫০. ইবনে হাজার হাইসামী : মাযমাউয যাওয়াইদ : ১/২৬৭ পৃ., হা/১৪৪৬


● ইমাম হাইসামী (رحمة الله) এ হাদিসটির উক্ত সনদকে সাধারণ যঈফ বলেছেন, অথচ আহলে হাদিস আলবানী এটিকে (ضعيف جداً) অত্যন্ত যঈফ বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। 


● আলবানী উক্ত রাবীর বিষয়ে অভিযোগ প্রকাশ করেছে যে-

احترقت كتبه؛ فحدث من حفظه فاشتد غلطه

-‘‘তার কিতাব পুড়ে যায়, ফলে সে হেফ্য তথা স্মরণশক্তি থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন এবং চরমভাবে ভুল করতেন।’’ (আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ, ৯/২৩২ পৃ. হা/৪২২০)


সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আমি কিতাবের শুরুতে আলোকপাত করেছি যে, কোন রাবীর যদি হেফ্যে সামান্য ক্রুটি পরিলক্ষিত হয় তাহলে সে রাবীর হাদিসের মান ‘হাসান’ বলে বিবেচিত হবে। অথচ আলবানী এ নীতিমালাকে একদম ভুলে গেলেন। উক্ত রাবীর বর্ণনা ছাড়াও আরও দুটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণিত হওয়া সত্তে¡ও আলবানী এটিকে কোন উসূলের ভিত্তিকে (ضعيف جداً) অত্যন্ত যঈফ বলে চালিয়ে দিলেন তা বোধগম্য নয়।


দ্বিতীয় সূত্র: 


❏ মহিউস সুন্নাহ ইমাম বাগভী (ওফাত. ৫১৬ হি.) রাবী ‘আবি সাবিত’ ছাড়াই আরেকটি সূত্র সংকলন করেছেন এভাবে-

وَأَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْجُوزَجَانِيُّ أَنَا أَبُو الْقَاسِمِ الْخُزَاعِيُّ أَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ كُلَيْبٍ نا أَبُو عِيسَى نا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَا إِبْرَاهِيمُ بن أَخِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ إِذَا تَكَلَّمَ رُؤِيَ كَالنُّورِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ.

-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এর সামনের দন্ত মোবারক প্রশস্ত ছিল। যখন তিনি কথা বলতেন তখন তাঁর দন্ত সমূহ থেকে নূর (আলো) বের হতো।’’  ১৫১

এ সনদে আবি সাবিত নামক রাবী বিদ্যমান নেই।

১৫১. বাগভী, আনওয়ার ফি শামায়েলে নাবিয়্যিল মুখতার, ১/১৪৬ পৃ. হা/১৬২


তৃতীয় সূত্র:


❏ ইমাম উমর বিন শাবাহ (ওফাত. ২৬২ হি.) সংকলন করেন-

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ:  كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ وَالرُّبَاعِيَّتَيْنِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ رُئِيَ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ كَالْبَرْقِ

-‘‘এখানে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম ইবনে উকবা (رحمة الله) তিনি তার পিতা ইবরাহিম উকবা (رحمة الله) হতে তিনি তাবেয়ী কুরাইব (رحمة الله) হতে তিনি সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেছেন......।’’ (তথ্য সূত্র: উমর ইবনে শাবাহ, তারিখে মাদিনা, ২/৬১০ পৃ.)


এ সনদের ‘আবি ছাবিত’ নেই, তাই সনদ নিয়ে কোনো সমস্যাও নেই। তাই আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল যে আলবানী ভুয়া তাহকীককারী।


এ বিষয়ের সমর্থিত বিভিন্ন হাদিসে পাক:


হাদিস নং-১


وَعَنْ أَبِي قِرْصَافَةَ قَالَ: لَمَّا بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ - ﷺ - أَنَا وَأُمِّي وَخَالَتِي وَرَجَعْنَا مِنْ عِنْدِهِ مُنْصَرِفِينَ قَالَتْ لِي أُمِّي وَخَالَتِي: يَا بُنَيَّ مَا رَأَيْنَامِثْلَ هَذَا الرَّجُلِ أَحْسَنَ مِنْهُ وَجْهًا، وَلَا أَنْقَى ثَوْبًا، وَلَا أَلْيَنَ كَلَامًا، وَرَأَيْنَا كَأَنَّ النُّورَ يَخْرُجُ مِنْ فِيهِ

-‘‘হযরত আবু কিরসাপা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন,  আমি ও আমার মা এবং আমার খালা রাসূল (ﷺ) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করলাম। অতঃপর আমরা যখন ফিরে আসলাম তখন আমার মা ও খালা আমাকে বললেন হে প্রিয় ছেলে! আমরা রাসূল (ﷺ) এর মত সুশ্রী,  সুভাষী ও নম্রভাষী কাউকে দেখিনি। যখন তিনি কথা বলতেন তখন আমরা তাঁর পবিত্র মুখ মোবারক থেকে নূর বের হতে দেখতাম।’’ ১৫২

১৫২. ইমাম জালাল উদ্দিন সূয়তী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১১১ পৃ : হা/২৮৫, আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউয-যাওয়াইদ : ৮/২৭৯ পৃ.হাদিস, ১৪০৩২, আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন-৬৬৩ পৃ., ইমাম তাবরানী : মু‘জামুল কাবীর :৩/১৮পৃ.হাদিস, ২৫১৮

 

হাদিস নং-২


এছাড়াও আরও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

كَانَ إِذَا ضَحِكَ يَتَلَأْلَأُ فِي الْجُدُرِ 

-‘‘নবী করীম (ﷺ) যখন হাসতেন, তখন পবিত্র দাঁত সমূহ থেকে নূর বের হতো,  যা দ্বারা দেয়াল আলোকিত হয়ে যেত।’’ ১৫৩

১৫৩. 

(ক) আল্লামা আব্দুর রহমান জালালুদ্দীন সূয়তী : আল খাসায়েসুল কোবরা : ১/১৩৬ পৃ., হাদিস, ৪০০ 

(খ) আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ১০৬ পৃ. 

(গ) ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুয়াত : ২/১৪৮ পৃ. 

(ঘ) আল্লামা ইমাম বায্যার : আল মুসনাদ 

(ঙ) আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউয যাওয়াইদ : ৮/২৭৯ পৃ. 

(ঙ) হুমায়রী হাদ্বরামী, হাদায়েকুল আনওয়ার, ১/৪২৭ পৃ. (চ) ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ২/৩০ পৃ. ও ৭/১২১ পৃ. 

(ছ) মোল্লা আলী ক্বারী, জামিউল ওয়াসায়েল, ২/১৫ পৃ.

(জ) বুরহান উদ্দিন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ, ৩/৪৬৮ পৃ.


হাদিস নং-৩


রাসূল (ﷺ) এর দাঁত মুবারক অত্যন্ত নূরানী সুন্দর ছিল। প্রসঙ্গ আরও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন-

عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ: أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَصِفُ رَسُولَ اللهِ ﷺ . فَقَالَ:: كَانَ رَسُولُ اللهِ، ﷺ، أَسْوَدَ اللِّحْيَةِ، حَسَنَ الثَّغْرِ

-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (ﷺ) এর দাঁড়ি মোবারক কালো এবং সামনের দাঁত মোবারক অত্যন্ত আলোকময় ও সুন্দর ছিল।’’ ১৫৪

১৫৪. 

(ক) ইমাম বায়হাকী: দালায়েলুন নবুয়াত : ১/২১৭পৃ., 

(খ) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি: খাসায়েসুল কোবরা : ১/১৩৪ পৃ : হাদিসঃ ৩৮৭ 

(গ) ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ২/৩০পৃ. 

(ঘ) বুরহানুদ্দীন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ, ৩/৪৬৮ পৃ. 

(ঙ) বুখারী, আদাবুল মুফরাদাত, ১/৩৯৫ পৃ. হা/১১৫, এ গ্রন্থের তাহকীকে আহলে হাদিস আলবানী বলেন, সনদটি ‘হাসান লিগাইরিহী’ পর্যায়ের; আমি বলবো তার এ তাহক্বীক ভূয়া। কেননা সনদটি সহীহ।


হাদিস নং-৪


হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত।  তিনি বলেন,  

 وَإِذَا غَضِبَ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ، وَإِذَا فَرِحَ غَضَّ طَرْفَهُ، جُلُّ ضَحِكِهِ التَّبَسُّمُ، يَفْتَرُّ عَنْ مِثْلِ حَبِّ الْغَمَامِ

-‘‘রাসূল (ﷺ) যখন রাগান্বিত হতেন মুখ মোবারক ফিরিয়ে নিতেন এবং মন সংকুচিত হয়ে যেত বলে মনে হতো। আনন্দিত হলে দৃষ্টি ঝুঁকিয়ে নিতেন, তাঁর বরকতময় হাসি ছিল মুচকি হাঁসি। হাসির সময় দাঁত থেকে শিলার মত নূর বের হতো বা ঝলমল করতো।’’ ১৫৫

১৫৫. 

(ক) আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতি : খাসায়েসুল কুবরা : ১/১৩৯ পৃ. হা/৪১৪ 

(খ) আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউয-যাওয়াইদ : ৮/২৭৮ পৃ. 

(গ) ইমাম ইবনে সাদ : আত-তবকাতুল কোবরা: 

(ঘ) ইমাম তিরমিযী : শামায়েলে তিরমিযী :১/১৩৫ পৃ. হাদিস, ২১৬ 

(ঙ) ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুয়াত : ১/২৮৮ পৃ. 

(চ) ইমাম তাবরানী : মুজামুল কাবীর: ২২/১৫৫ পৃ. হাদিস, ৪১৪, ও ২২/১৬২ পৃ. 

(ছ) ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : দালায়েলুন নবুয়াত :১/৬২৭পৃ. 

(জ) ইমাম ইবনে সাকীন : আল মারিফাহ: 

(ঝ) ইমাম ইবনে আসাকির : তারীখে দামেস্ক: 

(ঞ) শায়খ ইউসূফ নাবহানী, জাওয়াহিরুল বিহার, ১/২৭৪পৃ. 

(ট) দারেমী, সিরাতে-নববিয়্যাহ, ১/৪১২ পৃ. 

(ঠ) আবূ-শায়খ ইস্পাহানী, আখলাকুন্নাবী, ১/৫১৫পৃ. হা/১৯৭ 

(ঠ) বাগভী, আনওয়ার ফি শামায়েলুল নাবিয়্যেল মুখতার, ১/৩৪৫ পৃ. 

(ড) কাযী আয়ায, শিফা শরীফ, ১/১৫৮ পৃ.ও ২/৩৯৩ পৃ. 

(ঢ) মুকরিজী, ইমতাউল আসমা, ২/১৭৮ পৃ. 

(ন) ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ৭/১২৬ পৃ.

(ত) দিয়ার বকরী, তারীখুল খামীস, ১/২১০পৃ. 

(থ) মোবারকপুরী, র্আ-রাহিকুল মাখতুম, ১/৪৪৬ পৃ. 

(দ) বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ৩/২৪পৃ. হাদিস, ১৩৬২, 

(ধ) বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৩/২৭২ পৃ. ও ১৩/২৭৫ পৃ. হাদিস, ৩৭০৬, ও ১৩/২৮০ পৃ.


হাদিস নং-৫


عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ البَرَاءَ: أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ اللهِ ﷺ مِثْلَ السَّيْفِ؟ قَالَ: لاَ مِثْلَ القَمَرِ. هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.

-‘‘তাবেয়ী ইমাম আবু ইসহাক সাবাঈ (رحمة الله) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,  জনৈক ব্যক্তি বারা ইবনে আযাব (رضي الله عنه) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, রাসূল (ﷺ) এর চেহারা মোবারক কি তরবারীর মত ছিল? তিনি (উক্ত সাহাবী) জবাবে বললেন,  না (রাসূল (ﷺ) এর চেহারা ছিল) চাঁদের মত।’’ ১৫৬ 

ইমাম তিরমিযী বলেন,  উক্ত হাদিসটি হাসান, সহীহ।

১৫৬. 

(ক) তিরমিযি, আস্-সুনান, কিতাবুল মানাকিব, ৫/৪৬০ পৃ. হা/৩৫৮৫ 

(খ) সহীহ বুখারী, ৪/১৮৮ পৃ. হা/৩৫৫২ 

(গ) সুনানে দারেমী, ১/২০৬ পৃ. হাদিস, ৬৫ 

(ঘ) সহীহ ইবনে হিব্বান, ১৪/১৯৮ পৃ. হাদিস, ৬২৮৭ 

(ঙ) রুহাইনী, আল-মুসনাদ, ১/২২৪ পৃ. হা/৩১০ 

(চ) বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৩/২২৫ পৃ. হাদিস, ৩৬৪৭ 

(ছ) তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ২/৩৩৪ পৃ. হাদিস, ১৯২৬ 

(জ) এমনকি আলবানীও সহিহুত তিরমিযির ৫/৫৯৮ পৃ. হা/৩৬৩৬

 
Top