দ্বাত্রিংশ অধ্যায় 


ঈদের দিনের সুন্নাত 



১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। 


(বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬)



২. মিসওয়াক করা।


(তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮)



৩. গোসল করা। হাদিসে এসেছে,  রাসূলুল্লাহ ﷺ দুই ঈদের দিন গোসল করতেন। 


(মুসনাদে বায‍যার, হাদিস: ৩৮৮০) 


❏ ইবনে উমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত যে, তিনি ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। 


(মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস: ৬০৯)



৪. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা।


(বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮)



৫. সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। ইবনে উমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত যে তিনি দু ঈদের দিনে সুন্দরতম পোশাক পরিধান করতেন। 


( বায়হাকী : ১৯০১)



৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা।


(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০)



৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টিজাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম।


বুরাইদা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে খেতেন না। সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানীর গোশত খেতেন। 


(আহমদ : ১৪২২) 


❏ আনাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না, আর খেজুর খেতেন বে-জোড় সংখ্যায়। 


(বুখারী : ৯০০)



৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। 


(আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭)



৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। ইবনু উমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদেরকে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সাদকাতুল ফিত্‌র আদায় করার নির্দেশ দেন।


(বুখারী, হাদীস নং-১৪২১)



১০. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। আলী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : সুন্নত হল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া। 


(তিরমিযী : ১৮৭ )



১১. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। 


(বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮)



১২. যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। 


(বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬)



১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ


اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.


তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর উচ্চ আওয়াজ করে পড়তে থাকবে। 


(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫)

 
Top