বাব নং ৮৬. ৭৪. কবরের প্রশ্ন


৭৪- بَابُ مَا جَاءَ فِي السُّؤَالِ فِي الْقَبْرِ

١٩٣- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «إِذَا وُضِعَ الْـمُؤْمِنُ فِيْ قَبْرِهِ أَتَاهُ الْـمَلَكُ، فَأَجْلَسَهُ، فَقَالَ: مَنْ رَبُّكَ؟ فَقَالَ: اللهُ، قَالَ: وَمَنْ نَبِيُّكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قَالَ: وَمَا دِيْنُكَ؟ قَالَ: الْإِسْلَامُ»، قَالَ: «فَيُفْسَحُ لَهُ فِيْ قَبْرِهِ، وَيُرَىٰ مَقْعَدَهُ مِنَ الْـجَنَّةِ، فَإِذَا كَانَ كَافِرًا أَجْلَسَهُ الْـمَلَكُ، فَقَالَ: مَنْ رَبُّكَ؟ قَالَ: هَاهْ لَا أَدْرِيْ، كَالْـمُضِلِّ شَيْئًا، فَيَقُوْلُ: مَنْ نَبِيُّكَ؟ فَيَقُوْلُ: هَاهْ لَا أَدْرِيْ، كَالْـمُضِلِّ شَيْئًا، فَيُقَالُ: مَا دِيْنُكَ؟ فَيَقُوْلُ: هَاهْ لَا أَدْرِيْ، كَالْـمُضِلِّ شَيْئًا، فَيُضَيَّقُ عَلَيْهِ قَبْرُهُ، وَيَرَىٰ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ، فَيَضْرِبُهُ ضَرْبَةً يَسْمَعُهُ كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا الثَّقَلَيْنِ: الْـجِنَّ وَالْإِنْسَ»، ثُمَّ قَرَأَ رَسُوْلُ اللهِ : «[يُثَبِّتُ اللهُ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللهُ الظَّالِمِيْنَ وَيَفْعَلُ اللهُ مَا يَشَاءُ] {إبراهيم: 27}».


১৯৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে, তিনি সা‘দ ইবনে উবাদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন- যখন কোন মু‘মিনকে কবরে রাখা হয়, তখন তার নিকট ফেরেস্তা আগমন করেন এবং তাকে বসানোর পর বলেন- তোমার রব কে? তখন মু‘মিন বলেন, আল্লাহ। ফেরেস্তা পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, তোমার নবী কে? উত্তরে বলেন, মুহাম্মদ  । অতঃপর ফেরেস্তা জিজ্ঞাসা করেন, তোমার দ্বীন কি? উত্তরে বলেন, ইসলাম। রাসূল (ﷺ)  বলেন, তখন তার কবর প্রশস্ত ও বিস্তৃত করা হয় এবং বেহেস্তে তার যে আসন রয়েছে, তা তাকে দেখানো হয়।

কিন্তু ঐ মৃতব্যক্তি যদি কাফির হয়, তাহলে ফেরেস্তা তাকে বসানোর পর জিজ্ঞাসা করেন, তোমার রব কে? তখন সে ভুলে যাওয়া ব্যক্তির ন্যায় বলে, আফসোস, আমি জানিনা। এরপর ফেরেস্তা জিজ্ঞাসা করেন, তোমার নবী কে? সে বলে, আফসোস, আমি জানি না। অতঃপর ফেরেস্তা আবার জিজ্ঞাসা করেন, তোমার দ্বীন কি? তখন ঐ কাফির আতঙ্কিত অবস্থায় বলবে, আফসোস, আমি জানি না। তারপর তার কবর সংকীর্ণ করে দেওয়া হয় এবং দোযখে তার স্থানটি তাকে দেখানো হবে। এরপর ফেরেস্তা তার উপর এমন জোরে আঘাত করেন যে, যার আওয়াজ মানুষ ও জ্বীন ব্যতীত সবাই শুনতে পায়। অতঃপর রাসূল (ﷺ)  পবিত্র কুরআনের এই আয়াত তিলাওয়াত করেন

-يثبت الله الذين امنوا بالقول الثابت فى الحيوة الدنيا وفى الاخرة ويضل الله الظالمين ويفعل الله ما يشاء- 

(জামেউল আহাদীস, ৮/৩২৫/৭৩৮৯)


ব্যাখ্যা: কবরে প্রশ্ন ও উত্তর সত্য। কবর আযাবও সত্য। এগুলোর ব্যাপারে অনেক বিশুদ্ধ হাদিস বিদ্যমান। সুতরাং এগুলোকে অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই।


١٩٤- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ إِسْمَاعِيْلَ، عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ، «فِي الْقَبْرِ ثَلَاثٌ: سُؤَالٌ عَنِ اللهِ ، وَدَرَجَاتٌ فِي الْـجِنَانِ، وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ عِنْدَ رَأْسِكَ».


১৯৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইসমাঈল থেকে, তিনি আবু সালেহ থেকে, তিনি উম্মে হানী (رضي الله عنه) থেকে, তিনি নবী করিম (ﷺ)  থেকে বর্ণনা করেন, কবরে তিনটি বিষয় পেশ করা হবে। এক. আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। দুই. (মু‘মিন বান্দার সামনে) বেহেস্তের স্থান পেশ করা হবে এবং তিন. তিলাওয়াত কৃত কুরআন মাথার সামনে পেশ করা হবে।


١٩٥- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ  فِيْ جَنَازَةٍ، فَأَتَىٰ قَبْرَ أُمِّهِ، وَهُوَ يَبْكِيْ أَشَدَّ الْبُكَاءِ، حَتَّىٰ كَادَتْ نَفْسُهُ تَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ جَنْبَيْهِ، قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! مَا يُبْكِيْكَ؟ قَالَ: «اسْتَأْذَنْتُ رَبِّيْ فِيْ زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّ مُحَمَّدٍ، فَأَذِنَ لِيْ، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الشَّفَاعَةِ فَأَبَىٰ عَلَيَّ». وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: اسْتَأْذَنَ النَّبِيُّ  رَبَّهُ فِيْ زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقَ مَعَهُ الْـمُسْلِمُوْنَ حَتَّى انْتَهَوْا إِلَىٰ قَرِيْبٍ مِنَ الْقَبْرِ، فَمَكَثَ الْـمُسْلِمُوْنَ، وَمَضَى النَّبِيُّ  فَمَكَثَ طَوِيْلًا، ثُمَّ اشْتَدَّ بُكَاؤُهُ حَتَّىٰ ظَنَنَّا أَنَّهُ لَا يَسْكُنُ، فَأَقْبَلَ، وَهُوَ يَبْكِيْ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا أَبْكَاكَ يَا نَبِيَّ اللهِ بِأَبِيْ أَنْتَ وَأُمِّيْ؟ قَالَ: «اسْتَأْذَنْتُ رَبِّيْ فِيْ زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّيْ، فَأَذِنَ لِيْ، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الشَّفَاعَةِ، فَأَبَىٰ، فَبَكَيْتُ رَحْمَةً لَـهَا، وَبَكَى الْـمُسْلِمُوْنَ رَحْمَةً لِلنَّبِيِّ》


১৯৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি ইবনে বুরাইদা থেকে, তিনি তাঁর পিতা বুরাইদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (ﷺ) ’র সাথে এক জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। (মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর) তিনি তাঁর মায়ের কবরে গমন করেন এবং তিনি প্রচণ্ডভাবে ক্রন্দন করতে লাগলেন, যেন তাঁর পবিত্র রূহ দেহ থেকে বের হয়ে যাবে। আমরা আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এভাবে কাঁদলেন কেন? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে আমার মা‘র কবর যিয়ারতের অনুমতি চেয়েছিলাম, আমাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরপর আমি তাঁর শাফায়াতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করি। কিন্তু তা দেয়া হয়নি।

অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ)  তাঁর মায়ের কবর যিয়ারতের জন্য আল্লাহর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন। অনুমতি দেওয়া হলে তিনি কবরের নিকট গমন করলেন। কয়েকজন মুসলমান (সাহাবী) তাঁর সাথে ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় কবরের নিকট অবস্থান করেন এবং এমন অঝোরে কান্না-কাটি করতে থাকেন যে, মনে হয় তিনি আর থামবেন না। অতঃপর ক্রন্দনরত অবস্থায় তিনি আমাদের দিকে ফিরেন। তখন হযরত ওমর (رضي الله عنه) বলেন, হে নবী  ! আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোক, কিসে আপনাকে এভাবে কাঁদিয়েছে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর নিকট আমার মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি প্রার্থনা করি এবং অনুমতি দেওয়া হয়। অতঃপর তাঁর শাফায়াতের জন্য প্রার্থনা করি, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। সুতরাং তাঁর প্রতি দয়াপরবশ হয়ে কেঁদেছি। সাহাবায়ে কিরামও নবী করিম (ﷺ) ’র মহব্বতে কেঁদে ফেললেন। 

(মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াইয়্যাহ্, ১/২৪৫/২০৫)


ব্যাখ্যা: হাদিসে বর্ণিত বিষয়টি অত্যন্ত নাজুক ও বির্তকিত হওয়ায় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ওলামায়ে কিরাম বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। পূর্ববতী আলিমদের মতে রাসূল (ﷺ) ’র পিতা-মাতা ইসলামের উপর ইন্তেকাল করেননি। পরবর্তী আলিমদের মতে তাঁরা ইসলামের উপর ইন্তেকাল করেছেন। পূর্ববর্তী আলেমগণ উপরোক্ত হাদিস সহ অন্যান্য হাদিস দলীল হিসেবে পেশ করেন। 


❏এ প্রসঙ্গে তারা কুরআনের নিন্ম লিখিত আয়াতসমূহ পেশ করে থাকেন-

مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي القُرْبَى 

“নবী এবং মু‘মিনদের জন্য উচিত নয় যে, কোন মুশরিকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, যদি তারা তার নিকটাত্মীয়ও হয়।” 

(সূরা তাওবা, আয়াত, ১১৩) 


❏অন্যত্র বলা হয়েছে-

وَلَاتُسْئَلُ عَنْ اَصْحَابِ الْجَحِيْمِ 

“জাহান্নামীদের সম্পর্কে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন না।” 

(সূরা বাকারা, আয়াত, ১১৯) 

পরবর্তী আলিমগণ এ বিষয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করেছেন এবং তাদের মতে রাসূল (ﷺ) ’র পিতা মাতা মুসলমান ছিলেন। তাদের মতামতের স্বপক্ষে তিনটি ব্যাখ্যা পেশ করা যায়। 


প্রথমত: আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জীবিত করে ঈমান দান করেছেন। এ সম্পর্কে তাদের নিকট অনেক হাদিস বিদ্যমান। এগুলো তারা সহীহ ও হাসান বলে প্রমাণ করে থাকেন। হয়ত পূর্ববর্তী আলিমগণের এতটুকু চিন্তা ও গবেষণা করার অবকাশ হয়নি। 


❏কেননা আল্লাহ বলেছেন- 

وَاللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ 

“আল্লাহ স্বীয় রহমত যাকে ইচ্ছে দান করেন”। 

(সূরা বাকারা, আয়াত, ১০৫)


দ্বিতীয়ত: রাসূল (ﷺ) ’র পিতা-মাতা সর্বশেষ নবীর আবির্ভাাবের পূর্ববর্তী যুগ পেয়েছেন। আর আল্লাহ তায়ালা তাওহীদবাদী ও আনুগত্য প্রকাশকারীকে শাস্তি প্রদান করেন না। 

❏যেমন পবিত্র কুরআনে আছে- 

أَنَّ الْعَذَابَ عَلىٰ مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلّى 

“নিশ্চয়ই শাস্তি তার জন্য, যে দ্বীনকে মিথ্যা বলে এবং এর থেকে ফিরে থাকে। 

(সূরা ত্বোহা, আয়াত, ৪৮)


তৃতীয়ত: তাঁরা হযরত ইব্রাহীম (আ.)’র দ্বীনে বিশ্বাসী ছিলেন, যার ফলে তাঁরা আযাব থেকে মুক্তি পাবেন। মোটকথা এটা অত্যন্ত আদব ও সতর্কতার বিষয়। প্রকাশ্যভাবে তাঁদেরকে কুফুরীর দিকে ইঙ্গিত করা উচিত নয়। যদি এ বিষয়ে কেউ কোন দলীলও পেয়ে থাকে, তবুও কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বলা বাহুল্য, বিশ্বের সকল মানুষ রাসূল (ﷺ) ’র পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ। সুতরাং তাঁদের প্রতি কিভাবে কুফুরীর অভিযোগ উত্থাপন করা সম্ভব? পক্ষান্তরে এটা এরূপ কোন বিষয় নয় যে, যার উপর প্রত্যেক মুসলমানকে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে বা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়া ঈমান পূর্ণাঙ্গ হবে না। সুতরাং- কোন অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে চিন্তা করে অন্তরে সন্দেহ পোষণ করে ঈমানের মধ্যে ক্রটি সৃষ্টি করার কোন প্রয়োজন নেই।


❏ইমাম সুয়ূতী (رحمة الله) বলেন, ইমাম রাযী (رحمة الله) কুরআনের আয়াত  

الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ 

“আল্লাহ আপনাকে অবলোকন করতেছেন যখন আপনি নামাযে দণ্ডায়মান এবং তখনও অবলোকন করেছেন যখন আপনার নূর সিজদাকারীগণের এক পৃষ্ঠ থেকে অপর পৃষ্ঠে রূপান্তরিত হচ্ছিল। 

(সূরা শোয়ারা, আয়াত; ২১৮-২১৯) 


❏এর দ্বারা প্রমাণ করেন যে, রাসূল (ﷺ) ’র পিতা-মাতা মুসলমান ছিলেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকীদা হল হযরত আদম (আ.) থেকে হযরত আব্দুল্লাহ পর্যন্ত এবং হযরত হাওয়া (আ.) থেকে হযরত আমেনা (رضي الله عنه) পর্যন্ত যারা নূরে মুহাম্মদী   বহন করেছিলেন এঁদের সকলেই মু‘মিন ছিলেন।


❏আল্লামা আলূসী (رحمة الله) বলেন, যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) ’র পিতা-মাতাকে কাফের বলবে আমার মতে সে কাফের।  ১৬৯

➥  সৈয়দ মাহমুদ আলূসী (رحمة الله) (১২৭০ হিঃ) রূহুল মায়ানী, খন্ড ১৯, পৃষ্ঠাঃ  ১৩৭


❏হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  হাজ্জাতুল বিদা’র মধ্যে আমাদেরকেও হজ্ব করায়েছেন। এ সময় আমাকে উকবাতুল হাজুন নামক স্থানে নিয়ে যান। এ সময় তিনি অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু ফিরে আসার সময় তিনি খুবই উৎফুল­ ছিলেন। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বললেন, আমি আমার মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। আমি আরযু করেছিলাম যে, তিনি জীবিত হয়ে যান এবং আমার উপর ঈমান আনেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জীবন দান করেছেন এবং আমার উপর ঈমান এনেছেন তারপর পূর্বাবস্থায় ফিরে যান।  ১৭০

➥  জালাল উদ্দিন সুয়ূতী (رحمة الله) (৯১১ হিঃ), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড ২, পৃষ্ঠাঃ ৬০

 
Top