মহানবীর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট নারী


বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত ও নারীমুক্তির অগ্রদূত নবী করিম (ﷺ)  কতিপয় নারীকে নিকৃষ্ট বলেছেন। হাদীসে এসেছে-


عن ام سلمة رضى الله تعالى عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انى لا بغض المرئة تخرج من بيتها تجر ذيلها تشكو زوجها -

“হযরত উম্মে সালামা  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার নিকট ঐ নারী বড়ই নিকৃষ্ট, যে নিজের ঘর থেকে স্বামীর অনুমতি ব্যতীত চাদর জড়াতে জড়াতে স্বামীর সমালোচনা করতে করতে বের হয়।” ২৬০

২৬০.মাজমায়ুয যাওয়াযিদ, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩১৬


মনে রাখতে হবে যে, স্বামী-স্ত্রী সব সময় এক সাথে থাকার কারণে অনেক দোষ-ত্রুটি, ভুল-ভ্রান্তি হয়েই থাকে। পরস্পরের সমস্যা ভুল ত্রুটিগুলো দ্বারা অনেক সময় পরস্পরের মহব্বত নষ্ট হয়ে তিক্ততার জন্ম হয়। এক পর্যায়ে দেখা যায় সংসারই টিকে না। সোনালি সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। তাই সংসারের সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মেনে নিয়ে ধৈর্য সহকারে স্বামীর সাথে বসবাস করাই হচ্ছে একজন মুমিন নারীর দায়িত্ব।


মনে রাখতে হবে যে, একজন নারীর মূল পরিচয় হচ্ছে তার স্বামী। যেমন কোনো মেয়ের স্বামী যদি আলেম হয়, মন্ত্রী, এমপি হয় তখন সমাজের দৃষ্টিতে তার মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়। যদিও সে কৃষকের মেয়ে হোক। পক্ষান্তরে যদি কোনো মন্ত্রীর মেয়ে ডাকাত স্বামীর স্ত্রী হয়, তখন সমাজে তাকে ডাকাতের স্ত্রী হিসেবেই জানে এবং ঘৃণা করে। তাই প্রত্যেক মেয়েকে মনে রাখতে হবে, সে যদি স্বামীর বদনাম করে কার্যত সে নিজের বদনামই করল।


অনেক নারী নিজের আত্মীয়স্বজনের কাছে নিজ স্বামীর বদনাম করে। সে তলিয়ে দেখে না যে, এতে আত্মীয়স্বজনের দৃষ্টিতে তার স্বামীই হালকা হয়ে যায়। পরবর্তীতে যখন মেয়ে চেষ্টা করে তার স্বামীর ভালো গুণ বর্ণনা করতে বা তাদের চোখে ভালো করাতে, তখন শত চেষ্টা করেও আর পারে না। অতএব প্রত্যেক মেয়ের জন্য উচিৎ যে, নিজের স্বামীর বদনাম না করে স্বামীকে সময় ও সুযোগ মতো তার দোষগুলো ধরিয়ে দেয়া। এতে তিনি ঠিকই শোধিত হয়ে যাবেন এবং আপনার সংসার হয়ে যাবে সুখের বাগান।

 
Top