বিষয় নং-০৪: নবীগণের যিকর ইবাদত ও ওলীগণের যিকর গুনাহের কাফ্ফারা:


হযরত মু‘য়ায ইবনে জাবাল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,


ذِكْرُ الأنْبِياءِ مِنَ العِبادَةِ وذِكْرُ الصَّالِحِينَ كَفَّارَةٌ وَذِكْرُ المَوْتِ صَدَقَةٌ وَذِكْرُ القَبْرِ يُقَرِّبُكُمْ مِنَ الجَنَّةِ 


-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, নবীগণের যিকর হলো ইবাদত, সালেহীনদের (ওলীদের) যিকর হলো গুনাহের কাফ্ফারা, মওতের যিকর বা স্মরণ হলো সাদকার সমতুল্য, কবরের কথা যিকর বা স্মরণ করলে তা তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে।’’  ১৬

১৬ . ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদুল ফিরদাউস : ১/৮২ পৃ., ইমাম সূয়তী : জামেউস সগীর : ১/৬৬৫ পৃ. হা/৪৩৩১, ইমাম সূয়তী : জামিউল আহাদিস, ১৩/৪০ পৃ. হা/১২৫০২, মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল, ১৫/৮৬৪ পৃ. হা/৪৩৪৩৮,  ও ১৫/৯১৮ পৃ. হা/৪৩৫৮৪, আজলূনী, কাশফুল খাফা,  ১/৪৮০ পৃ. হা/১৩৪৫, শায়খ ইউসুফ নাবহানী,  ফতহুল কাবীর, ২/১১৫ পৃ. হা/৬৪৫৯,  মানাবী,  ফয়যুল কাদীর,  ৩/৫৬৪ পৃ.


পর্যালোচনা:


হাদিসটিকে আলবানী ব্যতীত আজ পর্যন্ত আর কোন মুহাদ্দিস জাল বলেননি। উক্ত হাদিসটি নবী ও ওলীদের ফযীলতের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, তাই দ্বঈফ সনদের হলেও তা হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য, যা আমি কিতাবের শুরুতে আলোচনা করে এসেছি। যঈফ হওয়া আর জাল হওয়া এক কথা নয়। তবে সনদটি যে দুর্বল তাতে কোন সন্দেহ নেই, কেননা আল্লামা মানাভী (رحمة الله) এ হাদিসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে- بِإِسْنَاد ضَعِيف -‘‘এ হাদিসটির সনদ যঈফ।’’ (মানাভী, তাইসীর বিশারহে জামিউস সগীর, ২/২০ পৃ.) 

তাই ফযিলতের ক্ষেত্রে এ ধরনের হাদিস অবশ্যই গ্রহণযোগ্য।

 
Top