হযরত খুযায়মা (رضي الله عنه)’র ফযীলত

৯- بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ خُزَيْمَةَ

٣٧٧- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ أَبِيْ عَبْدِ اللهِ الْـجَدَلِيِّ، عَنْ خُزَيْمَةَ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَىٰ رَسُوْلِ اللهِ ، وَمَعَ رَسُوْلِ اللهِ  أَعْرَابِيٌّ يَجْحَدُ بَيْعَهُ، فَقَالَ خُزَيْمَةَ: أَشْهَدُ لَقَدْ بِعْتَهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَهُ ؟ قَالَ: تَجِيْئُنَا بِالْوَحْيِ مِنَ السَّمَاءِ فَنُصَدِّقُكَ، قَالَ: فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ  شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ.  

وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّهُ مَرَّ بِأَعْرَابِيٍّ، وَهُوَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ، وَهُوَ يَجْحَدُ بَيْعًا فَقَالَ خُزَيْمَةَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بِعْتَهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَ ذَلِكَ ؟ فَقَالَ: تَجِيْئُنَا بِالْوَحْيِ مِنَ السَّمَاءِ فَنُصَدِّقُكَ، قَالَ: فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ  شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ.

وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَجَازَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ حَتَّىٰ مَاتَ.


বাব নং ১৯১. ৯. হযরত খুযায়মা (رضي الله عنه)’র ফযীলত


৩৭৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ জদলী থেকে, তিনি খুযায়মা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূল (ﷺ) ’র খেদমতে উপস্থিত হন। এ সময় এক বেদুঈন তাঁর সাথে বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছিল। তখন খুযায়মা (رضي الله عنه) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি তাঁর সাথে বেচা-কেনা করেছ। তখন রাসূল (ﷺ)  বললেন, তুমি এটা কিভাবে জানলে? খুযায়মা (رضي الله عنه) বলেন, আপনি আমাদের কাছে আসমান থেকে ঐশীবাণী বলেন আমরা আপনার কথা বিশ্বাস করি, (আর এটা কেন বিশ্বাস করবনা?) তিনি বলেন, এরপর থেকে রাসূল (ﷺ)  তাঁর একজনের সাক্ষ্যকে দু’জনের সাক্ষ্যের সমান করে দিয়েছেন।


অন্য এক বর্ণনায় আছে, হযরত খুযায়মা (رضي الله عنه) এক বেদুঈনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সে রাসূল (ﷺ) ’র সাথে ছিল। সে একটি বিক্রয়ের বিষয়কে অস্বীকার করছিল। তখন খুযায়মা (رضي الله عنه) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি তাঁর সাথে ক্রয়-বিক্রয় করেছ। অতঃপর রাসূল (ﷺ)  বললেন, তুমি এটা কিভাবে জানলে? তিনি বলেন, আপনি আমাদের নিকট আসমান থেকে ওহী নিয়ে আসেন আর আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি। (সুতরাং জমিনের কথা কেন বিশ্বাস করবনা?) তিনি বলেন, এর পর থেকে রাসূল (ﷺ)  তাঁর সাক্ষ্যকে দু’জনের সাক্ষ্যের সমান করে দিয়েছেন।


অপর বর্ণনায় আছে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত খুযায়মা (رضي الله عنه)’র সাক্ষ্য দু’জনের সাক্ষ্য হিসেবে  গণ্য হতো। (মুসান্নিফে আব্দুর রাযযাক, ১১/২৩৬/২০৪১৭)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ