পাঁচকে নির্দিষ্ট করার রহস্যঃ


আমি আল্লাহর উপর নির্ভর করে বলছি, এতে চমত্যার রহস্য ও নিদর্শন রয়েছে, যা কতই না উন্নত, মহৎ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত! 

তন্মধ্যে একটি সুক্ষ্ম বিষয় হলাে, ওহাবীরা স্বীয় হীন বুদ্ধিতে যা বুঝেছে, এটা তাদের উপর এর বিপরীত হুকুম প্রয়ােগ করে। আপনারা মনােযােগ সহকারে শ্রবণ করুন, যা আল্লাহ তায়ালা আমাকে ইলহাম করেছেন। জেনে নাও ১ যে, এ পাঁচটি ব্যতীত আরাে অনেক গায়ব রয়েছে। গত . এমনকি এ পাঁচের সব একক একত্রিত হয়েও অন্যান্য গায়বের এক সহস্রাংশেও পৌঁছতে পারবে না। আর আল্লাহ তায়ালা হলেন ‘গায়বেরও গায়ব’ তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর প্রত্যেক গুণ অদৃশ্য। আখিরাত, বেহেস্ত-দোজখ,হিসাব-নিকাশ ও আমলনামা, হাশর-নশর ফেরেস্তাগণ এবং আমাদের প্রতিপালকের সৈনিক সবই গায়ব ও অদৃশ্য।

(১) এটা হলাে রব্বানী রহস্য, আল্লাহর হিকমত এবং দয়াময়ের ফুরুজ ও প্রদত্ত বৈশিষ্ট্য যে, আল্লাহ তায়ালা এ বিখ্যাত কিতাবের গ্রন্থকারকে এ ‘পঞ্চ অদৃশ্য জ্ঞানের হিকমত বর্ণনা ছাড়াও অনেক বেশী গায়ব এবং বিশেষ বিশেষ রহস্যাদি সম্পর্কে অবগত করেছেন। আল্লাহর জন্যই সৌন্দর্য। 

ইবনে মালেক স্বীয় গ্রন্থ ‘তালেয়া তাসহীলে’ বলেনঃ এবং আল্লাহর জ্ঞানসমূহ উপহার ও প্রদত্ত। এটা অসম্ভব নয় যে, আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীদের জন্য ঐ জ্ঞান উঠিয়ে রেখেছেন যা বুঝা অনেক পূর্ববর্তীদের জন্য কঠিন হয়েছে। আর ব্যাখ্যাসমূহের অভিজ্ঞদের জন্য এ আয়াত পাঠ করা কর্তব্য- 'যে রহমত আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছেন এর প্রতিবন্ধক কেউ নেই। আর এ আয়াতও (এটা আল্লাহর অনুগ্রহ তিনি যাকে ইচ্ছে প্রদান করেন, আর আল্লাহ মহাঅনুগ্রহশীল। এটা লিখেছেন, ফকীর হামদান জুযায়েরী, মদীনা হামদানীয়া। এটা ঐ দ্বিতীয় টীকা যদ্বারা আমার কিতাবে অনুগ্রহ করেছেন পাশ্চাত্যের আল্লামা মাওলানা হামদান (رحمة الله)। আল্লাহ তায়ালা তাঁর কর্মসমূহ পূর্ণ করুন, আমীন। সকল প্রশংসা বিশ্ব নিয়ন্তার নিমিত্ত।



এ ছাড়া আরাে অনেক গায়ব (অদৃশ্য বস্তু) রয়েছে, যেগুলাের প্রকার কিংবা একক পর্যন্ত আমাদের জন্য গণনা করা অসম্ভব। বুঝা গেলাে, এসব কিছু কিংবা এর অধিকাংশ গায়ব হওয়া এ পঞ্চ অদৃশ্য জ্ঞান থেকেও অনেক বেশী (অদৃশ্য)। অথচ আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে তা থেকে একটিরও বর্ণনা করেননি; শুধুমাত্র এ পাঁচটিই উল্লেখ করেছেন। এর সংখ্যা এ কারণে গণনা করেননি যে, এগুলাে অদৃশ্য ও গােপনীয়তার মধ্যে অধিকভাবে অন্তর্ভুক্ত। বরং ব্যাপার হলাে গণকদের সময় ছিলাে। আর কাফিরেরা তীর নিক্ষেপ, নক্ষত্র, কিয়াফাহ-আয়াফাহ, যজর। ইত্যাদি (ফাল) পাখী ও ফানুসসহ আরাে বহু ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন পাগলামী দ্বারা অদৃশ্য জ্ঞানের দাবীদার ছিলাে। আর তারা ঐ সব কারণে আমাদের উল্লিখিত তথা আল্লাহর জাত ও সিফাত (সত্ত্বা ও গুণাবলী) আখিরাত, ফেরেস্তা ইত্যাদির উপর যুক্তিসঙ্গত আলােচনারও ধার ধারতাে না। ধ্বংসের দিকে আহবানকারী সে সমস্ত বিষয়সমূহ দ্বারা সত্যিকার কোন কিছু বুঝার পন্থাও ছিলাে তারাতাে একথা বলছিলাে যে, বৃষ্টি কখন হবে, কোথায় হবে, গর্ভের বাচ্চা কন্যা না ছেলে এবং উপার্জন ও ব্যবসাসমূহের অবস্থা এবং তন্মধ্যে কার লাভ হবে আর কার লােকসান হবে; মুসাফির ঘরে ফিরে আসবে, না বিদেশে মৃত্যুবরণ করবে ইত্যাদি। সুতরাং এ চার বস্তুকে বিশেষভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এ অর্থের ভিত্তিতে যে, এ বস্তুসমূহের জ্ঞান যা তােমরা স্বীয় বাতিল বিষয় বা পন্থাসমূহ দ্বারা দাবী করাে, সেগুলাের জ্ঞানতাে সেই মহান বাদৃশাহর নিকটই। তাঁর প্রদত্ত জ্ঞান ছাড়া তা জানার কোন পথ নেই এবং তিনি এ চতুৰ্জ্জনের সাথে কিয়ামতের জ্ঞানকেও শামিল করে নিয়েছেন। কেননা, এটাও এ প্রকার জ্ঞানেরই অন্তর্ভূক্ত, যে সম্পর্কে তারা আলােচনা করতাে আর তা হলাে মৃত্যু। কেননা, তারা মানুষের মধ্য থেকে একজনের মৃত্যু সম্পর্কে সংবাদ প্রদান করতাে আর কিয়ামত সকল পৃথিবীরবাসীরই মৃত্যু।

 

      নিঃসন্দেহে যারা জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী তারা জ্ঞাত আছেন যে, এ বিষয়ের ধারণায় নক্ষত্রসমূহের নির্দেশনা সুনির্দিষ্টতার চেয়ে সাধারণ ঘটনাবলীর ক্ষেত্রেই অধিক অনর্থক। কেননা, কোন একটি গৃহের ক্ষতি কিংবা এক ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে বলার জন্য তাদের কাছে এমন কোন পথ নেই, যাতে তারা স্বীয় ধারণায়ও দৃঢ় বিশ্বাস করতে পারে। এ কারণে যে, নক্ষত্রের দৃষ্টি ও সংযােগ, পরস্পর সম্পর্ক এবং প্রমাণসমূহ আলাদা আলাদা বিষয় বা ব্যাপারসমূহে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরস্পর বিপরীত হয়। বরং কারাে জন্ম কুষ্টি অথবা বয়সসূচীতে 





খুব কমই মতৈক্য হয় যে, যে নক্ষত্র কোন ঘরে বিদ্যমান হয় অথবা যা তার দিকে দেখছিলাে, তা শক্তি ও দুর্বলতার পরস্পর প্রতিবন্ধকতা থেকে শুন্য হয়।' সুতরাং যদি তা একদিক থেকে মন্দ আর অপরদিক থেকে ভালাে প্রমাণিত হয়। এবং তারা অনুমানের ঘােড়া দৌড়ায় এবং এক দিককে প্রধান্য দান করে, আর যে। দিকের দূরত্ব তাদের মতে ঝুকে পড়ে, তার উপর হুকুম প্রয়ােগ করে। কিন্তু পৃথিবীর সাধারণ পরিবর্তনের জন্য এখানে একটি স্থায়ী নিয়মই রয়েছে যা হচ্ছে কেরান আজম। অর্থাৎ উঁচু দু’টি নক্ষত্র যাহল ও মুশতারীর তিনটি অগ্নি বুরুজ হামল, আসদ ও কাউসের মধ্য থেকে কোন একটির প্রারম্ভে একত্রিত হওয়া যেমন হযরত নুহ (عليه السلام) এর মহাপ্লাবন সময় ছিলাে। বুঝা যায় যে, হিসাবের, ১ দ্বারা আসন্ন কেরান সম্পর্কে জানা যায় যে, তা কত বছর পর হবে, কি হবে এবং কক্ষের কোন্ স্থানে বরং কোন মুহুর্তে ১ হবে, কোন্ দিকে হবে এবং কতদিন থাকবে। আর এক নক্ষত্র অপরটি গােপন করে রাখবে নাকি উন্মুক্ত থাকবে ইত্যাদি। কেননা, নক্ষত্রতাে এক শক্ত হিসাবে বন্দী। এটা মহাপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।

(১) গণিত শাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী নিশ্চিত যে, যদি দুনিয়া বাকী থাকে তাহলে আসমানের নক্ষত্রের মহাসংযােগ (কেরানে আজম) ৫৮৪ হিজরীর পর আমাদের এ তারিখ থেকে ২৩ শে জিলক্বদ ১৮৭১ হিজরীর অর্ধরাত্রির সন্নিকটে হামলের (আসমানের প্রথম বুরুজের) তৃতীয় স্তরে সংঘটিত হবে। এ সব কিছু মধ্যবর্তী স্থানেই হবে। সুতরাং দুনিয়া যদি বাকী থাকে তবে ঐ জিলকূদের মহররম মাসের নিকটবর্তী অথবা ঐ সনের প্রথম দিকে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া অসম্ভব নয়। কেননা, নক্ষত্রের শুরু এ দু'য়ের মধ্যেই, যখন ঐ উভয়ের মধ্যকার হামলের দুরত্ব বাকী থাকে। আর নক্ষত্রের) শেষ এর পর যখন নক্ষত্রের মধ্যেকার দূরত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। আল্লাহই অধিক জ্ঞানী। অতঃপর আমার ধারণা জন্মালাে যে, এ শতাব্দীর শেষভাগে সৈয়দুনা ইমাম মাহদী (عليه السلام) এর আবির্ভাবের কাল। আর এটাই আমার নিকট অগ্রগণ্য। আমি লিসানুল হাকায়েক সৈয়দুল মােকাশেফীন ইমাম শেখ আকবর (رحمة الله)-এর কিতাব ‘আদদোররুল মাকনুন ওয়াল জাওয়াহিরুল মাসউনে তাঁর বাণী দেখেছি, যখন কালের দুরত্ব বিছমিল্লাহর অক্ষরের উপর হবে, তখন ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে এবং রােজার পরে হাতীমে কাবায় বের হবেন, আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম জানাবেন।' কিন্তু যে হাদীসে রয়েছে- “দুনিয়ার বয়স সাত হাজার বছর, আমি এর পরবর্তী বছরে। ইমাম তারাবাণী এটা মু’জামে কাবীরে রেওয়ায়েত করেছেন। 




সুতরাং কিয়ামতের বর্ণনা দ্বারা সাবধান করা হয়েছে যে, যদি তাদের এ জ্ঞান সমূহের কোন হাকীকত থাকতাে যেমন তাদের ধারণা, তাহলে কোন এক ব্যক্তির মৃত্যু (সংবাদ) জানার দ্বারা তার কিয়ামতের জ্ঞান সহসা এসে যেতাে, কিন্তু তাদের সে জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানেই ঘােড়াই দৌড়ায়। অতঃপর এ পাঁচটিকে বিশেষভাবে বর্ণনা করার মধ্যে এ রহস্যই রয়েছে। আল্লাহ অধিক জ্ঞানময়, আর বিশুদ্ধ চিন্তা ভাবনায় আল্লাহরই জন্য প্রশংসা। এটা খুব দৃঢ়ভাবে। জেনে রেখাে যে, এটা ঐ সম্মানিত গৃহের (কাবাগৃহ) ফয়েজ ও দয়াল নবী (ﷺ) এর সাহায্যে এ সময় আনকোরা স্মৃতিতে ভেসে ওঠেছে।



আল্লাহর মধ্যে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা বান্দার জ্ঞান অস্বীকারকে অপরিহার্য করে না; অনুরূপ ঐ জ্ঞান যা বান্দাকে প্রদান করা বিশুদ্ধঃ



আর ইমাম বায়হাকী দালায়েলুননবুয়তে দোহাক ইবনে জামাল যাহনী থেকে, তিনি রাসূলে পাক(ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। রাসুলে পাক(ﷺ) ইরশাদ করেন- ‘আমি নিশ্চিত আশা রাখি যে, আমার উম্মত স্বীয় রবের পক্ষ থেকে বঞ্চিত হবেনা, এ থেকে যে, তাদের অর্ধ দিবসের দীর্ঘ সময় প্রদান করবেন। এ হাদিসটি ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও নঈম ইবনে হাম্মাদ, আবু হাতিম ও বায়হাকী বাস’গ্রন্থে, আর জিয়া জায়দ সনদ সহকারে সা'দ ইবনে আবী ওক্কাস  (رضي الله عنه) থেকে রেওয়াত বর্ণনা করেন। এ হাদীসেই রয়েছে, হযরত সাদ থেকে জিজ্ঞেস করা হলাে, অর্ধ দিবসের পরিমাণ কত? ইরশাদ করলেন, পাঁচশত বছর। বাস' গ্রন্থে ইমাম বায়হাকীর রেওয়ায়েত হযরত সালাবাহ  (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন- “আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য অর্ধ দিবস প্রদান ব্যতীত (কিয়ামত) সংঘটিত করবেন না। আমি বলবাে অসম্ভব নয় যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) অর্ধ দিবসের অবকাশ চেয়েছেন, আর তাঁর প্রতিপালক তা পূর্ণ দিবস অথবা যা বৃদ্ধি করার ইচ্ছে প্রদান করেছেন। যেমন রাসুলে। খােদা (ﷺ) ইরশাদ করেন-“তােমাদের কখনাে যথেষ্ট করবেন না, যতক্ষণ না তােমাদের প্রতিপালক তিনহাজার অবতীর্ণ ফিরিস্তার মাধমে তােমাদের সাহায্য করবেন। আল্লাহ তায়ালা আরাে ইরশাদ করেছেন, যদি তােমরা সংযম প্রদর্শন করাে এবং মুত্তাকী হও তাহলে তােমাদের প্রতিপালক পাঁচ হাজার ফেরেস্তা দ্বারা তােমাদের সাহায্য করবেন।' সুতরাং নিশ্চয়ই হুজুর (ﷺ)-এর জন্য সময় বৃদ্ধি করেছেন। আল্লাহর জন্যই প্রশংসা। 

১। যখন বিশেষত্বের (স্থানে) এসেছে, তখন জমীর (এককের) দিকে প্রত্যাবর্তন 


তৃতীয়তঃ হাঁ! নবীয়ে করীম(ﷺ) ইরশাদ করেছেন-‘পাঁচটি বস্তু এমন। রয়েছে, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেন না। আর আল্লাহ তায়ালা বলেন “আপনি বলুন, আসমান ও জমিনে কেউ অদৃশ্য জ্ঞান রাখেনা আল্লাহ ব্যতীত।” এখানে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বিশেষ পাঁচটি বস্তুর উল্লেখ করেছেন, আর আল্লাহ তায়ালা সাধারণভাবেই ঘােষনা দিয়েছেন। আর আমরা প্রত্যেক আয়াতেই বিশ্বাস করি। কেননা, খাস (নির্দিষ্ট) আম (ব্যাপক)কে অস্বীকার করে না। তাহলে ঐ পঞ্চন আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা।



আল্লাহ ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই।


আমি বলি, বরং আল্লাহ ছাড়া আর কেউ কিছুই জানেনা। হাকীকী অস্তিত্বও আল্লাহ ছাড়া আর কারাে নেই। আর নিশ্চয়ই নবীয়ে করীম (ﷺ) লবীদের এ প্রবাদকে আরবের সর্বাধিক সত্য প্রবাদ ঘােষণা করে বলেছেন-‘শুনে নাও! প্রত্যেক বস্তু আল্লাহ ব্যতীত হাকীকতহীন। আমাদের সাধারণ লােকের মধ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থতাে এ যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। কিন্তু। বিশেষ লােকদের নিকট এর অর্থ-‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উদ্দেশ্য নেই। আর অতি বিশেষ লােকদের নিকট এর অর্থ হলাে-“আল্লাহ ছাড়া কিছুর অস্তিত্বই বিদ্যমান নেই। এ সবকটির মর্মার্থ বিশুদ্ধ। কিন্তু প্রথম অর্থেই ঈমানের নির্ভরতা, দ্বিতীয়টির উপর সংশােধনের নির্ভরতা এবং তৃতীয়টির উপর সুলুকের নির্ভরতা। আল্লাহর দিকে পৌছার নির্ভরতা হচ্ছে চতুর্থটির উপর। আল্লাহ তায়ালা 

আমাদের তাঁর ইহসান ও করুণা দ্বারা ঐ সব অর্থের পরিপূর্ণ স্বাদ প্রদান করুন। * আমীন! 



 
Top