৫- بَابُ مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ لِلزَّانِي الْـمُحْصَنَ

٣١٦- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ ، فَقَالَ: إِنَّ الْآخَرَ قَدْ زَنَىٰ، فَأَقِمْ عَلَيْهِ الْـحَدَّ، فَرَدَّهُ رَسُوْلُ اللهِ ، ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةً، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ؛ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَاهُ الرَّابِعَةَ، فَقَالَ: إِنَّ الْآخَرَ قَدْ زَنَىٰ، فَأَقِمْ عَلَيْهِ الْـحَدَّ، فَسَأَلَ عَنْهُ أَصْحَابَهُ: هَلْ تُنْكِرُوْنَ مِنْ عَقْلِهِ؟ قَالُوْا: لَا، قَالَ: انْطَلِقُوْا بِهِ فَارْجُمُوْهُ، فَانْطَلَقَ بِهِ، فَرُجِمَ بِالْـحِجَارَةِ، فَلَـمَّا أَبْطَأَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ، انْصَرَفَ إِلَىٰ مَكَانٍ كَثِيْرِ الْـحِجَارَةِ، فَقَامَ فِيْهِ فَأَتَاهُ الْـمُسْلِمُوْنَ، فَرَجَمُوْهُ بِالْـحِجَارَةِ حَتَّىٰ قَتَلُوْهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ ، فَقَالَ: هَلَّا خَلَّيْتُمْ سَبِيْلَهُ؟ فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِيْهِ، فَقَالَ قَائِلٌ: هَذَا مَاعِزٌّ أَهْلَكَ نَفْسَهُ وَقَائِلٌ: أَنَا أَرْجُوْ أَنْ يَكُوْنَ تَوْبَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ ، فَقَالَ: لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ، فَلَـمَّا بَلَغَ ذَلِكَ قَوْمَهُ طَمِعُوْا فِيْهِ، فَسَأَلُوْهُ مَا يُصْنَعُ بِجَسَدِهِ؟ قَالَ: اصْنَعُوْا بِهِ مَا تَصْنَعُوْنَ بِمَوْتَاكُمْ مِنَ الْكَفَنِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَالْـمَدْفَنِ، قَالَ: فَانْطَلَقَ بِهِ أَصْحَابُهُ فَصَلُّوْا.


وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: أَتَىٰ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ رَسُوْلَ اللهِ ، فَأَقَرَّ بِالزِّنَا فَرَدَّهُ، ثُمَّ عَادَ فَأَقَرَّ بِالزِّنَا فَرَدَّهُ، ثُمَّ عَادَ فَأَقَرَّ بِالزِّنَا الرَّابِعَةَ؛ فَسَأَلَ النَّبِيُّ : هَلْ تُنْكِرُوْنَ مِنْ عَقْلِهِ شَيْئًا، قَالُوْا: لَا، قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فِيْ مَوْضِعٍ قَلِيْلِ الْـحِجَارَةِ، قَالَ: فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ الْـمَوْتُ، فَانْطَلَقَ يَسْعَى الَىٰ مَوْضِعٍ كَثِيْرِ الْـحِجَارَةِ، وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ فَرَجَمُوْهُ حَتَّىٰ قَتَلُوْهُ، ثُمَّ ذَكَرُوْا شَأْنَهُ لِرَسُوْلِ اللهِ ، قَالَ: لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيْلَهُ، قَالَ: فَاسْتَأْذَنَ قَوْمُهُ رَسُوْلَ اللهِ  فِيْ دَفْنِهِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ، فَأَذِنَ لَـهُمْ فِيْ ذَلِكَ، قَالَ: وَقَالَ : لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ قُبِلَ مِنْهُمْ.


وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: لَـمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ  بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ أَنْ يُرْجَمَ قَامَ فِيْ مَوْضِعٍ قَلِيْلِ الْـحِجَارَةِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ، فَذُهِبَ بِهِ مَكَانًا كَثِيْرَ الْـحِجَارَةِ، وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ حَتَّىٰ رَجَمُوْهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ ، قَالَ: أَلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيْلَهُ!؟


وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: لَـمَّا هَلَكَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ بِالرَّجْمِ، اخْتَلَفَ النَّاسُ فِيْهِ، فَقَالَ قَائِلٌ: مَاعِزٌ أَهْلَكَ نَفْسَهُ، وَقَالَ قَائِلٌ: تَابَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُوْلُ اللهِ ، قَالَ:لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَقُبِلَ مِنْهُ، أَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ.


وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَىٰ رَسُوْلِ اللهِ ، وَهُوَ جَالِسٌ، فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! إِنِّيْ زَنَيْتُ فَأَقِمِ الْـحَدَّ عَلَيَّ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ ، قَالَ: فَفَعَلَ ذَلِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَرُدُّهُ النَّبِيُّ ، وَيُعْرِضُ عَنْهُ، فَقَالَ فِي الرَّابِعَةِ: أَنْكَرْتُمْ مِنْ عَقْلِ هَذَا شَيْئًا؟ قَالُوْا: مَا نَعْلَمُ إِلَّا عَاقِلًا، وَمَا نَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا، قَالَ: فَاذْهَبُوْا بِهِ فَارْجُمُوْهُ، قَالَ: فَذَهَبُوْا بِهِ فِيْ مَكَانٍ قَلِيْلِ الْـحِجَارَةِ، فَلَـمَّا أَصَابَتْهُ الْـحِجَارَةُ جَزِعَ، قَالَ: فَخَرَجَ يَشْتَدُّ حَتَّىٰ أَتَى الْـحَرَّةَ، فَثَبَتَ لَـهُمْ، قَالَ: فَرَجَمُوْهُ بِجَلَامِيْدِهَا حَتَّىٰ سَكَتَ، قَالَ: فَقَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! مَاعِزٌ حِيْنَ أَصَابَتْهُ الْـحِجَارَةُ جَزِعَ، فَخَرَجَ يَشْتَدُّ، فَقَالَ النَّبِيُّ : لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيْلَهُ؟! قَالَ: فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِيْ أَمْرِهِ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ: هَلَكَ مَاعِزٌ، وَأَهْلَكَ نَفْسَهُ، وَقَالَتْ طَائِفَةٌ: بَلْ تَابَ إِلَى اللهِ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبلَ مِنْهُمْ، قَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! فَمَا نَصْنَعُ؟ قَالَ: اصْنَعُوْا مَا تَصْنَعُوْنَ بِمَوْتَاكُمْ مِنَ الْغُسْلِ وَالْكَفَنِ وَالْـحَنُوْطِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَالدَّفْنِ.

وَقَدْ رُوِيَ الْـحَدِيْثُ بِرِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ.




বাব নং ১৬০. ৫. বিবাহিত ব্যভিচারীকে পাথর নিক্ষেপ করার বর্ণনা


৩১৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি বুরাইদা থেকে, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, মায়েয ইবনে মালিক নবী করমি (ﷺ)  এর দরবারে এসে বলল, কল্যাণ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি (নিজের কথা বলেছে) যিনা করেছে, আপনি তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। রাসূল (ﷺ)  তার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সে দ্বিতীয়বার এসে পূর্বের ন্যায় বলল। অতঃপর তৃতীয় ও চতুর্থবার এসে অনুরূপ বলল। তখন তিনি তার সাহাবীগণের নিকট জিজ্ঞাসা করলেন যে, সে পাগল কিনা? সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন, তোমরা তাকে নিয়ে গিয়ে পাথর নিক্ষেপ কর (কেননা সে বিবাহিত)। বুরাইদা (رضي الله عنه) বলেন, তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং পাথর নিক্ষেপ করা হলো। কিন্তু যখন তার মৃত্যুতে বিলম্ব হচ্ছিল তখন সে ঐস্থান ত্যাগ করে অধিক কংকরযুক্ত স্থানে গিয়ে দাঁড়াল। মুসলমানগণ তার পিছু নিল এবং পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করল। এই সংবাদ নবী করমি (ﷺ)  এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, তোমরা তার পিছু নেয়া কেন ছাড়লে না? (অর্থাৎ সে যখন অন্যত্র চলে গিয়েছে তখন তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন?) 

তার ব্যাপারে লোকজন মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। কেউ কেউ বলল, মায়েয নিজেকে নিজে ধ্বংস করেছে, আবার কেউ কেউ বলল, আশা করি এটা তার জন্য তাওবা হয়ে গেল। এইসব কথা নবী করমি (ﷺ)  এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, মায়েয এমন তাওবা করেছে একদল লোকও যদি এরূপ তাওবা করে তবে তা কবুল হবে।

তাঁর এই বাণী মানুষের কাছে যখন পৌঁছল তখন তারা মায়েয সম্পর্কে সওয়াবের আশা পোষণ করেন। তারপর নবী করমি (ﷺ)  এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো, তার মৃত্যুদেহ কি করবে? তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের মৃতদের সাথে যা কর তার মৃতদেহকেও তা কর। তার কাফন-দাফন কর এবং জানাযার নামায পড়।

অপর এক বর্ণনায় আছে, মায়েয ইবনে মালিক রাসূল (ﷺ)  এর নিকট এসে যিনার স্বীকারোক্তি করল। তিনি তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন। সে দ্বিতীয়বার এসেও যিনার স্বীকারোক্তি করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এভাবে তৃতীয়বার ও চতুর্থবার বলার পর নবী করমি (ﷺ)  জিজ্ঞাসা করেন, তার বিবেকে কি সমস্যা আছে? লোকেরা বলল, না। বারীদা (رضي الله عنه) বলেন, তখন তিনি আদেশ দিলেন যে, তাকে অল্প পাথর ওয়ালা ভূমিতে নিয়ে গিয়ে পাথর নিক্ষেপ কর। রাবী বলেন, যখন তার মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল তখন সে অধিকপাথর বিশিষ্ট স্থানে গিয়ে দাঁড়াল। লোকেরা তার পিছনে পিছনে গিয়ে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করল। এই ঘটনা লোকেরা রাসূল (ﷺ) কে অবহিত করলে তিনি বলেন, তোমরা তার পিছু ছাড়লে না কেন? বুরাইদা বলেন, মায়েযের স¤প্রদায়ের লোকেরা তার দাফন এবং নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অনুমতি প্রদান করেন এবং বলেন সে এমন তাওবা করেছে যদি একদল লোকও অনুরূপ তাওবা করে তবে কবুল হবে।

অন্য বর্ণনায় আছে, বুরাইদা (رضي الله عنه) বলেন, যখন নবী করমি (ﷺ)  মায়েযকে পাথর নিক্ষেপের আদেশ দেন তখন সে অল্প পাথর বিশিষ্ট জমিতে গিয়ে দাঁড়াল। অতঃপর যখন তার মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল তখন সে বেশী পাথর বিশিষ্ট জমিতে চলে গেল আর লোকেরা তার পিছনে পিছনে গিয়ে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করল। এই ঘটনা রাসূল (ﷺ)  এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, তোমরা তাকে তার রাস্তা ছেড়ে দাওনি কেন?

অপর এক বর্ণনায় আছে, মায়েয যখন পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুবরণ করল তখন তার ব্যাপারে লোকেরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়ে গেল। কেউ বলতে লাগল সে নিজেকে নিজে হত্যা করেছে আবার কেউ বলতে লাগল মায়েয এভাবে তাওবা করেছে। এই ঘটনা রাসূল (ﷺ) এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, মায়েয এমন তাওবা করেছে যে, যদি এরূপ তাওবা কোন কর আদায়কারীও  করে, তবুও কবুল হবে অথবা একদল মানুষও করে তবে অবশ্যই কবুল হবে।

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, মায়েয ইবনে মালিক রাসূল (ﷺ) এর খেদমতে এসেছে এসময় তিনি বসা অবস্থায় ছিলেন। সে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যিনা করেছি আমাকে শাস্তি দিন। এতে তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বুরাইদা (رضي الله عنه) বলেন, সে চারবার এভাবে বলেছে আর তিনি প্রত্যেকবার প্রত্যাখ্যান করতেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিতেন। চতুর্থবার তিনি বলেন, তোমরা কি তার জ্ঞানে কোন ত্র“টি লক্ষ্য করেছ? উত্তরে তারা বলেন, আমরা তো তাকে বুদ্ধিমান ও কল্যাণমূলক কাজ করে বলেই জানি। তিনি বললেন, তাকে নিয়ে যাও এবং পাথর নিক্ষেপ কর। বুরাইদা (رضي الله عنه) বলেন, তাকে কম কংকরময় স্থানে নিয়ে যাওয়া হলো। যখন তাকে পাথর নিক্ষেপ করা আরম্ভ হলো তখন সে ভীষণ ভয় পেল এবং সেখান থেকে দৌঁড়ে গিয়ে অধিক কংকরময় স্থানে পৌঁছে অবস্থান করল। সেখানে তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হলে সে মৃত্যুবরণ করল। এই ঘটনা লোকেরা রাসূল (ﷺ)  এর নিকট বর্ণনা করে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যখন মায়েযের উপর পাথর নিক্ষেপ করা হলো তখন সে ভয়ে পালিয়ে যায়। একথা শুনে তিনি বললেন, তোমরা তাকে যেতে দিল না কেন? এরপর লোকজন তার ব্যাপারে মতবিরোধে লিপ্ত হয়ে গেল। একদল বলল মায়েয নিজে নিজে ধ্বংস হয়েছে এবং সে আত্মহত্যা করেছে। অপরদল বলে সে আল্লাহর দরবারে মকবুল তাওবা করেছে। এরূপ তাওবা একদল লোকও যদি করত তবে তাও কবুল হতো। লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার মৃতদেহ কি করবো? তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের মুর্দার জন্য যা কর, তার জন্যও তা কর। যেমন গোসল, কাফন, সুগন্ধি, নামাযে জানাযা এবং দাফন। আর এই হাদিসখানা বিভিন্ন সূত্রে উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। 

(তিরমিযী, ৪/৩৬/১৪২৮)


ব্যাখ্যা: এই হাদিসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা বর্ণিত হয়েছে। 

এক. যেনাকারী নারী পুরুষ প্রত্যেকের জন্য একশ চাবুক নির্ধারণ হয়েছে,الزانية والزانى فَاجلد واكل واحد منها مائة جلدة আয়াত দ্বারা। এতে বিবাহিত অবিবাহিত কোন পার্থক্য করা হয়নি। কিন্তুالشيخ والشيخة اذا زنيا فارجموهما البتة  “বিবাহিত পুুরুষ ও নারী যখন যেনা করে তখন তাদেরকে অবশ্যই পাথর নিক্ষের কর।” উম্মতের ইজমা দ্বারা আয়াতটির তিলাওয়াত রহিত হলেও এর বিধান এখনো বিদ্যমান রয়েছে। রহিত আয়াত দ্বারা বিবাহিতদের জন্য পাথর নিক্ষেপ আর অবিবাহিতদের জন্য স্পষ্ট আয়াত দ্বারা চাবুক মারা নির্ধারণ হয়েছে। পাথর নিক্ষেপের পক্ষে এমন মশহুর ও মুতাওয়াতির হাদিস রয়েছে যা قطعى الدلالة অলংঘণীয় নির্দেশমূলক আয়াতের উপরও অধিক ক্ষমতা রাখে। সুতরাং এটার দ্বারা মাসয়ালা সাব্যস্ত করতে কোন অসুবিধা নেই। 

দুই. ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) ’র মতে যিনাকারীকে শাস্তি প্রদানের জন্য একবার স্বীকারোক্তি নেয়াই যথেষ্ট। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আহমদ এবং কূফাবাসী সকল আলিমের মতে যিনাকারীকে শাস্তি প্রদানের জন্য চারবার স্বীকারোক্তির প্রয়োজন। তাদের শক্তিশালী দলীল হলো মায়েয ইবনে মালিকের হাদিস যা সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত আছে। এতে বর্ণিত আছে রাসূল (ﷺ)  অপরাধীদের কাছ থেকে চারবার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করতেন তারপর শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিতেন। 

তিন. অপরাধীর জন্য শাস্তি কি তাওবা হিসেবে গণ্য হবে এবং এর দ্বারা গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে? হানাফীদের মতে ইহকালের শাস্তি দ্বারা পরকালের শাস্তি রহিত হয়না এবং গুনাহের কাফফারাও হয়না। পরকালের মুক্তির জন্য খালিস তাওবা প্রয়োজন।

 
Top