32 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْإِمَامِ إِذَا قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَ»

106 – ابْنُ أَبِي السَّبْعِ بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا حَنِيْفَةَ يَسْأَلُ عَطَاءً عَنِ الْإِمَامِ، إِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ، أَيَقُوْلُ: رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ؟ قَالَ: مَا عَلَيْهِ أَنْ يَقُوْلَ ذَلِكَ.

ثُمَّ رَوَىٰ عَنِ ابْنِ عُمَرَ : صَلَّىٰ بِنَا النَّبِيُّ ، فَلَـمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ، قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ»، فَقَالَ: «رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ»، فَلَـمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ ، قَالَ: «مَنْ ذَا الْـمُتَكَلِّمُ بِهَذِهِ»؟ قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، قَالَ الرَّجُلُ: أَنَا يَا نَبِيَّ اللهِ! قَالَ: «فَوَالَّذِيْ بَعَثَنِيْ بِالْـحَقِّ، لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلَاثِيْنَ مَلَكًا يَبْتَدِرُوْنَ أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا لَكَ، أَوْ مَنْ يَرْفَعُهَا لَكَ».


বাব নং ৪৭. ৩২. ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা বলে


১০৬. অনুবাদ: ইবনে আবিস সাবআ ইবনে তালহা (رحمة الله) বলেন, আমি ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) কে হযরত আতা (رحمة الله)’র নিকট এটা জিজ্ঞাসা করতে দেখেছি যে, ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন এর সাথে কি رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বলতে হবে? উত্তরে হযরত আতা (رحمة الله) বলেন, এটা ইমামের জন্য জরুরী নয়। অতঃপর হযরত আতা (رحمة الله) হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা নবী (ﷺ) আমাদের নামায পড়ান। যখন তিনি রুকু থেকে মাথা উঠান এবং سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ বলেন। তখন (মুক্তাদীদের মধ্য থেকে) এক ব্যক্তি رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ বলেন। তিনি নামায শেষে জিজ্ঞাসা করেন এই সমস্ত বাক্য কে উচ্চারণ করেছে? তিনি এটা তিনবার জিজ্ঞাসা করেন। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর নবী! আমি বলেছি। তখন রাসূল (ﷺ)  বললেন, ঐ পবিত্র সত্তার শপথ! যিনি আমাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, নিঃসন্দেহে আমি ত্রিশের অধিক ফেরেস্তাকে এই বাক্যটিকে কে আগে লিখবে এবং কে আগে উঠিয়ে নিবে, এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে দেখেছি। (মুসনাদে আহমদ, ৪/৩৪০/১৯০১৮)


ব্যাখ্যা: একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ এবং رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ উভয়টি বলবে। ইমামের পিছনে নামায আদায়কারী মুক্তাদী শুধু رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বলবে। এ বিষয়ে ইমামদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তবে ইমাম সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে ইমাম উভয় বাক্য বলবে। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমদ (رحمة الله)’র মতে ইমাম শুধু سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ বলবে। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) দলীল হিসেবে হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিস ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يجمع بين الذكرين 

“রাসূল (ﷺ)  উভয় যিক্র একত্রে আদায় করতেন।” পেশ করেন। ইমাম আবু হানিফা দলীল হিসাবে এই হাদিস এবং এ ধরনের অন্যান্য হাদিস পেশ করেন যাতে নবী (ﷺ) শুধু سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُবলেছেন। তাই হযরত আতা ইবনে আবি রাবাহ (رضي الله عنه) হাদিসের এই অংশের মাধ্যমে দলীল পেশ করেছেন যে, ইমাম শুধু سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ বলবে আর মুক্তাদী শুধু رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বলবে। কেননা এ ক্ষেত্রে নবী করিম (ﷺ)  ইমাম ও মুক্তাদীর আমল বন্টন করে দিয়েছেন-

 اذا قال الامام سمع الله لمن حمده قولوا ربنا لك الحمد 

“ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِـمَنْ حَمِدَهُ বলবে, তখন তোমরা মুক্তাদীরা رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বল।” আর আবু হোরায়রা (رضي الله عنه)’র হাদিসের জবাব হলো-এটা একাকী নামায আদায়কারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

 
Top