♠ওলী-আউলিয়াগন কি কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে শাফায়াত করতে পারবেন?

★১. হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত।হযরত মুহাম্মাদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

ﻳﺸﻔﻊ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﺛﻼﺛﺔ ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ ﺛﻢ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺛﻢ ﺍﻟﺸﻬﺪﺍﺀ

অর্থ: কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক সুপারিশ করবে।যথা:
*(ক.) নবী রাসূল আলাইহিমুস সালাম।
*(খ.) উলামায়ে কিরাম(বা আউলিয়া কেরাম) রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
*(গ.) শহীদ গন।”

[সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ,মিশকাত শরীফ ৫৩৭০]

বি:দ্র: পূর্ববর্তী হক্কানী উলামায়ে কেরাম رحمة الله عليه গন সবাই আল্লাহর ওলী ছিলেন।আর ওলীগনের মর্যাদা আর ক্ষমতা উলামায়ে কেরাম থেকে অনেক বেশি।

★এই হাদিসটার সনদ দিতে গিয়ে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি رحمة الله عليه বলেন,” হাশরের মাঠে পিয়ারা নবীর নির্দেশে নবীগণ তাদের উম্মতদের, আউলিয়াগণ তাদের মুরিদদের এবং শহীদগণ তাদের মা-বাবার জন্য সুপারিশ করবে।
[মসনদে গোয়ারভী শরীফ,১ম-খন্ড পৃষ্ঠা ৩৬২]

★২. অপর হাদিসে ইরশাদ হয়েছে:

ﻭ ﺍﺫﺍ ﺭﺃﻭﺍ ﺍﻧﻬﻢ ﻗﺪ ﻧﺠﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﺧﻮﺍﻧﻬﻢ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﺭﺑﻨﺎ ﺍﺧﻮﺍﻧﻨﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﺼﻮﻣﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﻌﻤﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﺫﻫﺒﻮﺍ ﻓﻤﻦ ﻭﺟﺪﺗﻢ ﻓﻲ ﻗﻠﺒﻪ ﻣﺜﻘﺎﻝ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﻣﻦ ﺍﻳﻤﺎﻥ ﻓﺎﺣﺮﺣﻮﻩ ﻭ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻮﺭﻫﻢ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻓﻴﺎﺗﻮﻧﻬﻢ ﻭﺑﻌﻀﻬﻢ ﻗﺪ ﻏﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺍﻟﻲ ﻗﺪﻣﻪ ﻭ ﺍﻟﻲ ﺍﻧﺼﺎﻑ ﺳﺎﻗﻪ ﻓﻴﺨﺮﺟﻮﻥ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﻮﺍ

যখন আল্লাহর অলীগণ দেখবে যে তারা মুক্তি পেয়ে গেলে,তখন তাদের মুমীন ভাইদের জন্য তারা আল্লাহর কাছে আবেদন করবে “হে আঁমার প্রতিপালক এরা আমাদের ভাই, যাদেরকে তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তারা আমাদের সাথে নামাজ পড়ত ,আমাদের সাথে রোজা রাখত এবং আমাদের সাথে সৎকাজ করত।তখন আল্লাহ বলবেন “যাদের অন্তরে শুধুমাত্র এক দিনার ওজন পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস।তাদের মুখমন্ডল তথা আকৃতিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেওয়া হয়েছে।”

অতঃপর তারা (অলীগণ) সেখানে জাহান্নামীদের নিকট যাবেন । এসে দেখবেন কেউ কেউ পা পর্যন্ত কেউ পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত আগুনে ডুবে আছে । এর মধ্যে যাদের তারা চিনবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসবে ।

[সহীহ বুখারী,২য়-খন্ড,পৃষ্ঠা ১১০৭, হাদীস নং ৭০০১]

♣শহীদগনও সুপারিশ করতে পারবেন♣

★১.মিকদাদ ইবনু মা’আদী কারাব (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসুল ﷺ
বলেছেন-“আল্লাহর নিকট শহীদের জন্য ছয়টি বিশেষ পুরস্কার রয়েছে।

*১. শরীরের রক্তের প্রথম ফোঁটা ঝরতেই তাকে মাফ করে দেওয়া হয় এবং প্রাণ বের হওয়ার প্রাক্কালে জান্নাতের মধ্যে তার অবস্থানের জায়গাটি চাক্ষুষ দেখানো হয়।
*২. কবরের আযাব হতে তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়।

*৩. ক্বিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা হতে তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়।
*৪. তার মাথায় সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে । তার একটি ইয়াকুত দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু হতে উত্তম।

*৫. তার স্ত্রী হিসেবে বড় বড় চক্ষু বিশিষ্ট ৭২ জন হুর দেওয়া হবে।
*৬. তার নিকট আত্মীয়দের মধ্য হতে ৭০ জনের জন্য সুপারিশ কবুল করা হবে।”

[জামে তিরমীযী,আবওয়াবুল ফাদায়িলিল জিহাদ ১/২৯৫,ইবনু মাজাহ, মিশকাত-হাদিস সহিহ]

★২.অপর বর্ননায় রয়েছে: হযরত উবাদা বিন সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত।হুযুর পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একজন শহীদ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাতটি পুরষ্কার লাভ করেন।”

*১. তাঁর রক্তের প্রথম ফোটা পতনের সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
*২. তিনি জান্নাতে তাঁর মর্যাদা দেখতে পারেন।

*৩. ঈমানের পোশাকে তাকে আচ্ছাদিত করা হয়ে থাকে।
*৪. তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
*৫. হাশরের ময়দানের ভয়াবহ চিন্তা-উৎকন্ঠা থেকে তিনি নিরাপদে থাকবেন।

*৬. তাঁর মাথায় একটি সম্মানের মুকুট স্থাপন করা হবে।
*৭. তিনি তাঁর পরিবারের সত্তর জন সদস্যের জন্য শাফায়াত করার সুযোগ পাবেন”।

[মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, আত তারগিব ওয়া তাহরিব,পৃ:৪৪৩,২য় খন্ড]

♥সূরা মূলকও বান্দার জন্য সুপারিশ করবে♣♣♣♣♥♥♥♥♥♥

★১. হাদিস শরীফে বর্নিত হয়েছে :

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مِنَ القُرْآنِ سُورَةٌ ثَلاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ: -تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ-». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال:((حديث حسن))

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা এমন আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং সব শেষে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, সেটা হচ্ছে তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মুলক’ (সুরা মুলক)।

*****দলিল*******
*১. সুনানে আবু দাউদ,১৪০০,১/১৯৯ পৃঃ; সনদ হাসান
*২. মিশকাত হা/২১৫৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২০৪৯;
*৩. সুনানে আত-তিরমিযী, ২৮৯১
*৩.ইবনে মাজাহ, ৩৭৮৬
*৪. মুসনাদে আহমদ- ২/২৯৯
*৫. সুনানে নাসাঈ
*৬. মুস্তাদরেকে হাকেম
*৭.রিয়াযুস স্ব-লিহীন,বই নং ৯, হাদিস নং ১০১৬
*৮. সহিহ ইবনে হিববান হা/৭৮৪।

[ইমাম তিরমিযী বলেছেন হাদিসটি হাসান, ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেন সহীহ। মাজমু ২২/২২৭,আলবানীর মতে হাদিসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩০৫৩।]

★২. আবার আরেকটি বর্ননা রয়েছে।
রাসূল ﷺ বলেছেন:

إِنَّ سُوْرَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ-

‘কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছিল ফলে তাকে মাফ করা হয়েছে।সে সূরাটি হচ্ছে ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’।

[আহমাদ,মিশকাত হা/২১৫৩,হাদিস সহিহ।]

****আরও কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক****

*(ক.) আর যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মূলকের আমল করবে সে ‪কবরের‬ আজাব থেকে মুক্তি পাবে।
[তিরমিজি-২৮৯০, মুসতাদরাকে হাকেম]

*(খ.) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রিতে ‘তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ পাঠ করবে এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আর আমরা রাসূল (ﷺ)-এঁর যুগে এর নাম বলতাম ‘আল-মানে‘আহ’ বা বাধাদানকারী..।

[সুনানুল কুবরা হা/১০৫৪৭; সনদ হাসান, সহিহ তারগীব হা/১৪৭৫,
সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯, আলবানীর মতে হাদিসটি হাসান সহীহ]

*(গ.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না।
[তিরমিযী-২৮৯২,মুসনাদে আহমাদ, ১৪৬৫৯]

*(ঘ.) আরেকটি এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে এ সূরা তিলাওয়াতকারীর আমলনামায় অন্য সূরার তুলনায় ৭০‬ টি নেকী বেশি লিখা হবে এবং ‪‎৭০টি‬ গোনাহ মুছে ফেলা হবে। [তিরমিজি-২৮৯২]

*(ঙ.) অন্য এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,” আঁমার মন চায় প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেনো সূরা মূলক মুখস্ত থাকে।
[বায়হাকীর শুআবুল ইমান-২৫০৭]

*(চ.) রাসুলুল্লাহ (দরুদ ) আলিফ লাম মীম তানজিলুল কিতাব (সুরা আস-সাজদা) ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক) তিলাওয়াত না করে কোনদিন ঘুমাতেন না”।

[সুনানে আত-তিরমিযী ২৮৯২, মুসনাদে আহমাদ ১৪২৯।আলবানীর মতে হাদিসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬।]

*(ছ.) আবার অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,”আঁমি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে সূরা মুলক থাকা পছন্দ করি।”
[ফতহুল বয়ান।]

♠রোজা ও কোরআন শরীফ শাফায়াত করবে♣♣♣♣♣♣♣♣♣

★১. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

« الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ
يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ الصِّيَامُ أَىْ رَبِّ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِى فِيهِ. وَيَقُولُ الْقُرْآنُ مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِى فِيهِ. قَالَ فَيُشَفَّعَانِ

”রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।রোযা বলবে, হে প্রভু, আমি তাকে দিনের বেলায় খাদ্য ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণে বাধা দিয়েছিলাম।
অতএব: আঁপনি তার ব্যাপারে আমার শাফায়ত কবুল করুন। আর কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলায় ঘুম থেকে বাধা দিয়েছিলাম। অতএব,তার ব্যাপারে আমার শাফায়ত কবুল করুন। অত:পর তাদের শাফায়াত কবুল করা হবে।”

[মুসনাদ আহমদ, মুসনাদে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর হাদীস নং ৬৭৮৫, শামেলা, সনদ সহীহ আল-মুস্তাদরাক, হাদীস নং ২০৩৬ তাবরানী শরীফ, সুনানুল কুবরা, ইবনে আবিদ্দুনইয়া]

★শুধু কি তাই! রোজাদার ব্যক্তি বেহেস্তে প্রবেশ করবেন রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে।হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত।নবীজি ﷺ বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে কেবল রোজাদারগণ প্রবেশ করবেন। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে কোথায় সেই সৌভাগ্যবান রোজাদারগণ? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। তারা ব্যতীত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোজাদারগণ যখন প্রবেশ করবে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

[সহীহ মুসলিম ১১৫২, মুসনাদে আহমাদ ২২৮১৮]

♣হাফিজগনও সুপারিশ করতে পারবেন ♥♥♥♥♥♥♥♥♥
হাদিস শরীফে বর্নিত আছে।

ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﻭ ﺣﻔﻈﻪ ﺍﺩﺧﻠﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺷﻔﻌﻪ ﻓﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﻣﻦ ﺍﻫﻞ ﺑﻴﺘﻪ ﻛﻠﻬﻢ ﻗﺪ

ﺍﺳﺘﻮﺟﺒﻮﺍ ﺍﻟﻨﺎﺭ

হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রঃ) হতে বর্ণিত ,তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ পাঠ করল এবং মুখস্হ করল ,আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার বংশধর হতে এমন দশজনকে সুপারিশ করতে পারবে যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল।

[আল হাদিস, তিরমীজি- ২য় খন্ড হাদিস নং ১১৪, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ২১৬]

 
Top