মাসয়ালা (১) - পাগল  অথবা খুব শিশু, জবেহ সম্পর্কে যার আদৌ  জ্ঞান  নেই, কাফের  মুশরিক ও  মুরতাদের   জবেহ হালাল নয়। (বাহারে-শরিয়াত)

মাসয়ালা  (২)  -  নাবালেগ   বাচ্চা  যদি   জবেহ   সম্পর্কে জ্ঞান       রাখে       তাহলে       তার       জবেহ       হালাল       হবে  (বাহারে-শরীয়াত)

মাসয়ালা (৩)  - আহলে  কিতাব দিগের জবেহ হালাল। যদি      কোনো      আহলে    কিতাব     জবেহ    করার    সময়  হজরতে ঈশা আলাইহিসালাম   এর   নাম উচ্চারণ করে  জবেহ    করে    তাহলে    পশু    হালাল    হবেনা।    (বাহারে  শরিয়াত)   বর্তমানে   পৃথিবীতে   আহলে   কিতাব   নেই।  সবাই মুশরিক  হয়ে    গিয়েছে, সেইহেতু তাদের  জবেহ খাওয়া হালাল নয়।

মাসয়ালা   (৪)   -  ওহাবী   দেওবন্দীদের   জবেহ  হালাল নয়।   কারণ     এরা    দ্বীন    ইসলামের    বহু   জরুরী   বিষয় অস্বীকার  করে  থাকে।  ওহাবি  দেওবন্দীদের  কতিপয়   ইসলাম বিরুদ্ধ ধারণা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ-

১) হুজুর কবরে স্বশরীরে জীবিত  নেই। কবরে সাধারণ মানুষের যেঅবস্থা তাঁরও সেই অবস্থা।
২) হুজুরের রওজা পাক জিয়ারত করতে যাওয়া হারাম ও ব্যাভিচারের পর্যায়ের গোনাহ।
৩) হুজুর শাফায়াৎ করতে পারবেন না।
৪) আমাদের প্রতি হুজুর ﷺ কোনো অবদান নেই।
৫) হুজুর ﷺ আমাদের মতই মানুষ।
৬)  হুজুর   ﷺ  র  ওসিলা দিয়ে সাহায্য  চাওয়া জায়েজ  নয়।
৭) আল্লাহর নবী অপেক্ষা আমাদের হাতের  লাঠি বেশি সাহায্যকারী।   কারণ   লাঠী   দ্বারা   আমরা   কুকুর   মেরে  থাকি।
৮) চারটি  মাজহাবের মধ্যে যেকোনো  একটি মাজহাব  অবলম্বন করা শির্ক।
৯)  হুজুর   ﷺ  র   প্রতি  দরুদ-সালাম  ও  মীলাদ  শরীফ পাঠ করা বিদায়াত ও হারাম।
১০)    যারা    ওহাবীদের    অনুসরণ     করবেন    না    তারা   মুসলমান নয়।
[[সংগৃহীতঃঃ-    আশশিহাবুস      সাকিব     ২৪পৃস্টা     হতে ৬৭পৃস্টা]]
১১) হুজুর  ﷺ আমাদের   বড় ভাই এর ন্যায় অতএব তাঁর        সন্মান      বড়ভাই       এর      ন্যায়       করতে      হবে  [তাকবীয়াতুল ঈমান ৪৮পৃস্টা]
১২) শয়তান অপেক্ষা হুজুরের ইলম বেশি ছিলো বললে মুশরিক হয়ে যাবে [বাহারানে কাতিয়া ৫৫পৃস্টা]
১৩) হুজুর ﷺ র   যতটুকু ইলমে গায়েব ছিলো ততটুকু ইলমেগায়েব শিশু, উন্মাদ ও সমস্ত জীব জন্তুর রয়েছে। [হিফজুল ইমান ৮পৃস্টা]
১৪)     হুজুর    ﷺ    দেওবন্দী   মৌলবিদের    নিকট   হতে উর্দু-ভাষা শিক্ষা করেছেন (বাহারানে কাতীয়া ৩০পৃস্টা)
১৫)   হুজুর   ﷺ র পর  যদি কোনো নবী আসে  তাহলে তাঁর শেষত্বে ক্ষতি হবেনা (তাহজীরুন্নাস ১৪পৃস্টা)
এ    ছাড়াও   এরা   আরো   বহু    কুফরি     ধারণা    পোষন  কারিয়া থাকে।

সাধারণ  মাংস  ব্যাবসায়িদের  ওহাবী  দেওবন্দী  ধারণা  করা   আদৌ   উচিত   নয়।   এরা    ওহাবী   দেওবন্দীদের  ধারণা সম্পর্কে আদৌ জ্ঞাত নয়। অতএব তাদের নিকট মাংস    ক্রয়    করা     জায়েজ।    যদি    কোনো     ব্যাবসায়ী  নিজেকে  ওহাবী দেওবন্দী বলে দাবী  করে থাকে  এবং ওহাবী   দেওবন্দীদের   ন্যায়  কুফরি    আক্বীদাহ   পোষণ করে     থাকে       অথবা     কোনো     ওহাবী     দেওবন্দীদের মৌলবি   দ্বারা  জবেহ  করে     থাকে,  তাহলে  উক্ত  মাংস অবশ্যয় হারাম হবে।

লা-মাজহাবী  গায়ের  মুকাল্লিদ সম্প্রদায়ের জবেহ  করা  পশুর  মাংস   হালাল  নয়।  কিন্ত যেসমস্ত হানাফী  ওহাবী দেওবন্দী লামাজহাবীদের চক্রান্তে তাদের দলভূক্ত হয়ে যাচ্ছে  এদের   ব্যাপারটি  খানিকটা  সতন্ত্র।  কারণ   এরা ওহাবী    দেওবন্দীদের  কুফরি   আক্বীদাহ   গুলো  সমর্থন করেনা।     বরং     এরা     ওহাবী     দেওবন্দীদের     চক্রান্তে  তাদের  কুফরী আকীদাহ  হতে  অবগত হতে    পারেনা। যদি   কোনো    নির্ভরশীল    সুন্নী   আলেমের   নিকট   হতে ওহাবী দেওবন্দীদের কুফরি ধারণা গুলো অবগত হবার পরও তাদের অনুসরণ করে চলে তাহলে তাদের মাংস হালাল হবে না।

 
Top