ওমরার ভিসায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করা কেমন?
========
প্রশ্ন:    কিছুলোক  নিজ  দেশ  থেকে   রমজানুল  মুবারকে ওমরার জন্য ভিসা নিয়ে হারামাইন তৈয়্যেবাইনে গমন করে।    ভিসার   সময়কাল   শেষ    হয়ে   যাওয়ার   পরেও ওখানে  থেকে যায়।  কিংবা  হজ্ব করে  নিজ  দেশে  চলে যায়, তাদের এ কাজ শরীয়াত মতে সঠিক কিনা?

উত্তর:  দুনিয়ার   সকল  দেশের    নিয়ম  কানুন  এই   যে,  ভিসা ছাড়া অন্য দেশের কোন লোককে, দেশে প্রবেশ করতে  দেয়া  হয়  না।  আর হারামাঈনে তৈয়্যেবাইনেও এই একই নীতি।

ভিসার         মেয়াদকাল       শেষ       হয়ে        যাওয়ার       পরও অবস্থানকারী ব্যক্তি যদি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে ইহরাম অবস্থায় থাকলেও  তাকে বন্দি করে নেয়া  হয়। তখন তাকে  আর  হজ্বও করতে  দেয়া হয়  না। ওমরার  সুযোগও  দেয়া  হয়  না  বরং  শাসিন্ত  দিয়ে   তাকে  নিজ  দেশে  পাঠিয়ে  দেয়া  হয়।  মনে  রাখবেন!  যে আইনের  বিরোধিতা করলে  লাঞ্চনা, ঘুষ, মিথ্যা ইত্যাদি  বিপদে  পড়ার আশঙ্খা রয়েছে সেই আইনের বিরোধিতা  করা জায়েয    নেই।    সুতরাং   আমার    আক্বা   আ’লা    হযরত  ইমামে   আহ্‌লে  সুন্নাত    মাওলানা  শাহ   ইমাম  আহমদ রযা খান  رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: মুবাহ (অর্থাৎ জায়েয)  বিষয়ের     মধ্যে   থেকে  কিছু  বিষয়   আইনগত ভাবে অপরাধ হয়ে থাকে। তবে জড়িত হওয়া (অর্থাৎ এভাবে আইনের বিরোধিতা করা) নিজের সত্বাকে  কষ্ট ও  লাঞ্চনার  জন্য সম্মুখিন করা, আর এটা না-জায়েয। (ফতোওয়ায়ে    রযবীয়া,     ১৮তম    খন্ড,    ৩৭০     পৃষ্ঠা) সুতরাং  ারংধ   ছাড়া   দুনিয়ার  যে  কোন  দেশে  থাকা কিংবা হজ্বের  জন্য অবস্থান   করা জায়েয  নেই। অবৈধ  পদ্ধতিতে হজ্বের জন্য অবস্থান করাকে مَعَاذَ اللہ عَزَّوَجَلَّ আল্লাহ  ও   রাসুল   عَزَّوَجَلَّ  وَ  صَلَّی    اللہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   এর দয়া মনে করা কঠিন স্পর্ধা।

অবৈধভাবে           হজ্বকারীদের           নামাযের             গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা
========
প্রশ্ন:   হজ্বের   জন্য   ভিসা    ছাড়া    অবস্থানকারী   নামায সম্পূর্ণ পড়বে অথবা ক্বসর?

উত্তর:  ওমরার  ভিসায়  গিয়ে  অবৈধভাবে  হজ্বের  জন্য  অবস্থান  করা   অথবা  পৃথিবীর  যে  কোন  দেশে  ারংধ  এর  সময়   পূর্ণ   হওয়ার  পর   অবৈধভাবে   থাকার  যার  নিয়্যত রয়েছে, যেই শহর বা গ্রামে মুকিম হবে সেখানে যতক্ষণ   থাকবে তার  জন্য মুকিমের  আহকাম  বর্তাবে, যদিও  বা   বছরের  পর   বছর  যেখানে    অবস্থান    করে,  বরঞ্চ একবারও যদি ৯২ কি:মি: অথবা এর চেয়ে বেশী দূরত্বের সফর করার ইচ্ছায় ঐ শহর অথবা গ্রাম থেকে বের হয়, তাহলে নিজের বাসস্থান থেকে  বাহির  হতেই   মুসাফির   হয়ে   গেল।   এখন   তার   ইকামতের    নিয়্যত  অনর্থক।     উদাহারণ    স্বরূপ    কোন    ব্যক্তি    বাংলাদেশ  থেকে    ওমরার    ভিসায়    মক্কা    মুকাররমা    গেল,    আর  ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময মক্কা শরীফেই মুকীম রয়েছে।  তবে  তার  উপর  মুকীমের  আহকাম  বর্তাবে।  এখন    যদি  উদাহরণ  স্বরূপ    সেখান   থেকে  মদীনাতুল মুরাওওয়ারা  زَادَہَا  للہُ  شَرَفًا   وَّ  تَعۡظِیۡمًا  চলে   আসল  চায় বছরের পর   বছর  অবৈধভাবে  অবস্থান  করে  মুসাফির থাকবে।  এমনকি  পুনরায়   মক্কা  মুকাররমায়   زَادَہَا  للہُ شَرَفًا    وَّ   تَعۡظِیۡمًا    পুনরায়    চলে     আসা   সত্ত্বেও    মুসাফির থাকবে।    তাকে    নাময     কাছর    পড়তে    হবে।    তবে  পুনরায়     ভিসা    যদি    পেয়ে     যায়,     তবে    ঐ     অবস্থায় ইকামতের নিয়্যত করতে পারবে।

হেরেমের মধ্যে কবুতর এবং  ফড়িংকে উড়ানো,  কষ্ট দেওয়া
========
প্রশ্ন: হেরেমের কবুতর এবং ফড়িংকে অযথা উড়ানো কেমন?

উত্তর:   আ’লা  হযরত   رَحۡمَۃُ  اللہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেছেন: হেরেমের কুবতর উড়ানো নিষেধ। (মালফুযাতে আ’লা হযরত, ২০৮ পৃষ্ঠা)

প্রশ্ন:  হেরেমের    কবুতর   এবং  ফড়িংকে  কষ্ট     দেওয়া কেমন?

উত্তর:  হারাম।  সদরুশ  শরীয়াহ  رَحۡمَۃُ  اللہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেছেন:   হেরেমের   পশু   শিকার   করা   অথবা    তাকে  কোন  কষ্ট দেওয়া হারাম। মুহরিম এবং গাইরে মুহরিম উভয় একই   হুকুমের  অন্তর্ভূক্ত।  (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৮৬ পৃষ্ঠা)

প্রশ্ন: মুহরিম কবুতর জবাই করে কি খেতে পারবে?

উত্তর: বাহারে শরীয়াতের  প্রথম   খন্ডের ১১৮০ পৃষ্ঠায় রয়েছে: মুহরিম জঙ্গলের জানোয়ারকে জবাই করলো,   তবে হালাল হলনা বরং  মৃত   এটাই     যে, জবাই করার  পর তাকে  খেয়ে  ফেলল যদিও  বা কাফ্‌ফারা  দেওয়ার পর খেয়েছে। তাহলে পুনরায় খাওয়ার কাফ্‌ফারা দিবে এবং  যদি  না  দিয়ে  থাকে  তাহলে   একটা   কাফ্‌ফারাই যথেষ্ট।

প্রশ্ন: হেরেমের ফড়িং ধরে খেতে পারবে কিনা?

উত্তর:  হারাম   (তবে   ফড়িং   হালাল  মৃত    মাছের   মত খেতে পারবে এটাকে জবাই করার প্রয়োজন নেই)।

প্রশ্ন:   মসজিদুল   হারাম   এর   বাইরে   মানুষের   পায়ের  নিচে   পিষ্ট   হওয়া   আহত   এবং    মৃত   অসংখ্য   ফড়িং   থাকে, যদি এই ফড়িং গুলোকে খেয়ে নেয় তবে হুকুম কি?

উত্তর:   যদি  কেউ  ফড়িং  খেয়ে   নেয়  তবে  তার  উপর কোন   কাফ্‌ফারা   আবশ্যক   হবে  না।  কেননা  হেরেমে  শিকারকৃত   ঐ    জানোয়ার   খাওয়া    হারাম,    যা    শরয়ী নিয়মে জবাই করলে  হালাল হয়ে যাবে।    যেমন: হরিণ ইত্যাদি, আর  এমন শিকার হারাম হওয়ার   কারণ   হল হেরেমে শিকার করলে সেই জানোয়ার মৃত সাব্যস্ত হয়, আর মৃত  প্রাণী খাওয়া   হারাম। ফড়িং কে খাওয়া  এই জন্য   হালাল। যেহেতু ফড়িংকে জবেহ  করা   শরীয়তে শর্ত  নেই। এটাকে  যেভাবেই জবাই করা হোকনা কেন হালাল    হবে।  যেভাবে  পায়ের  নিচে  পিষ্ট  করে  অথবা গলায় চাপ  প্রয়োগ  করার কারণে মারা হোক। তারপর ও হালাল হবে। তবে স্মরণ রাখুন যে, ইচ্ছাকৃত ফড়িং শিকার করার অনুমতি হেরেম শরীফে নেই।

প্রশ্ন:     হেরেমের  স্থলের  জঙ্গলের   পশুকে  জবাই  করার কাফ্‌ফারা বলে দিন।

উত্তর:  ইহার  কাফ্‌ফারা  হল   ইহার    সমপরিমাণ    মূল্য  সদকা করা।

প্রশ্ন:     হেরেমের     মুরগী     জবাই       করা     এবং      খাওয়া কেমন?

উত্তর: হালাল।  ঘরোয়া পশু  যেমন মুরগী,  ছাগল,  গরু, মহিষ,    উট    ইত্যাদি    জবাই    করা    এবং     তার    মাংস  খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। তবে জঙ্গলী পশু শিকার করার নিষেধাজ্ঞা আছে।

প্রশ্ন: মসজিদুল হেরেমের বাইরে অনেক ফড়িং থাকে, যদি কোন ফড়িং পা কিংবা গাড়িতে পিষ্ট হয়ে  আহত বা নিহত হল তবে?

উত্তর:  কাফ্‌ফারা  দিতে   হবে।   বাহারে  শরীয়তের  ১ম খন্ড,        ১১৮৪       পৃষ্ঠায়         রয়েছে:       ফড়িংও       স্থলের জানোওয়ার।   তাকেও  মারলে    কাফ্‌ফারা  দিবে,  আর  একটি খেজুরই কাফ্‌ফারা দেওয়া যথেষ্ট। ১১৮১ পৃষ্ঠায় রয়েছে:   কাফ্‌ফারা  আবশ্যক   হওয়ার    জন্য   ইচ্ছাকৃত হত্যা  করা  শর্ত  নয়।  অনিচ্ছাকৃত  ভাবে  মারা  গেলেও  কাফ্‌ফারা দিতে হবে।

প্রশ্ন: মসজিদুল হারামে অসংখ্যা ফড়িং থাকে। খাদেম পরিষ্কার করার সময় ওয়েপার ইত্যাদি দ্বারা দয়াবিহীন হেচড়াতে থাকে, যার কারণে আহত হয় ও নিহত হয়। যদি   তা না করে   তবে কিভাবে পরিষ্কার   করবে। ঠিক সেভাবেই   শুনেছি     কবুতরের    সংখ্যা   কমানোর   জন্য  তাদেরকে  ধরে  কোন   দূরে  নিয়ে   ছেড়ে  দিয়ে  আসে  অথবা খেয়ে ফেলে।

উত্তর:   ফড়িং   যদি    এতো   অধিক  যে  তাদের  কারণে সমস্যা    হয়ে  থাকে    তবে   সেগুলোকে  মারলে   সমস্যা নেই,     তা    না    হলে     ক্ষতিপূরণ    আবশ্যক    হবে।    তা ইচ্ছাকৃত  হত্যা  করুক অথবা অনিচ্ছাকৃত  হত্যা করুক। হেরেমের   কবুতর   ধরে   জবাই   করে   দিলে  ক্ষতিপূরণ আবশ্যক    হবে।   ঠিক    সেভাবেই    হেরেমের    বাইরেও ছেড়ে  আসলেও  ক্ষতিপূরণ  আবশ্যক।  যতক্ষণ  পর্যন্ত  তাদের    শানিন্তর  সাথে   হেরেমে  চলে  আসার   বিষয়টা জানা    না    যায়।   উভয়   অবস্থায়   ক্ষতিপূরণ    কবুতরের সমপরিমাণ মূল্য  এবং  সেটা  দ্বারা ঐ মূল্য  যে সেখানে এই সমস্ত বিষয়াদি পরিচিতি এবং দৃশ্যঅবলোকনকারী দু’জন   ব্যক্তি     বর্ণনা   করবে   এবং    যদি   দু’জন   ব্যক্তি পাওয়া  না   যায়,   তবে   এক   জনের  কথা  বিশ্বাস  করে নেওয়া হবে।

প্রশ্ন: হেরেমের মাছ খাওয়া কেমন?

উত্তর: মাছ স্থলের পশু নয়।  তাকে খেতে পারেন  এবং  প্রয়োজনে শিকারও করতে পারেন।

প্রশ্ন:  হেরেমের  ইঁদুরকে  মেরে  ফেললে   কি  কাফ্‌ফারা  রয়েছে?

উত্তর:   কোন   কাফ্‌ফারা    নেই।    তাকে   মারা   জায়েয। বাহারে শরীয়তের   ১ম   খন্ডের   ১১৮৩ পৃষ্ঠায় উলেস্নখ রয়েছে:    কাক,   চিল,  বাঘ,  বিচ্ছু,  সাপ,    ইঁদুর,   এমন  কুকুর  যেটা  কামড়   দিয়ে   থাকে,  বিচ্ছুর  মত  পোকা, মশা,  কচ্ছপ, কাঁকড়া,  প্রজাপতি, কামড়  দেয়  এমন পিপড়া, মাঁছি, টিকটিকি এবং হাশরাতুল আরদ অর্থাৎ পোকা-মাকড়,  বৃজী, শিয়াল,  খেক  শিয়াল  যখন এই   ধরনের হিংস্র প্রাণী আক্রমন করে  অথবা যে পশু এমন হয়  যা  প্রথমেই  আক্রমণ    করে,   যেমন:   সিংহ,   চিতা, তেন্দওয়া, এমন পশু যা চিতা বাঘের মত  হয়ে থাকে।  এগুলোকে  মারতে   কোন   ক্ষতি    নেই।  অনুরূপ    ভাবে পানির  সমস্ত   প্রাণীদের   জবাই  করাতে   কাফ্‌ফারা  হয় না।

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب!                               صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

হারমের গাছ-পালা কাটা
========
প্রশ্ন:   হারম    শরীফে    গাছ-পালা   কাটার     ক্ষেত্রে     কিছু নির্দেশনা দান করুন।

উত্তর:      দা’ওয়াতে        ইসলামীর       প্রকাশনা      প্রতিষ্ঠান  মাকতাবাতুল   মদীনা    কর্তৃত   প্রকাশিত     ১২৫০    পৃষ্ঠা  সম্বলিত  কিতাব  “বাহারে  শরীয়াত”এর  ১১৮৯-১১৯০  পৃষ্ঠার   কিছু    মাসআলা    অবলোক্ষণ   করুন।      হারামের গাছপালা  ৪ প্রকারের রয়েছে।  (১)  কেউ সেটা  রোপন করেছে     এবং    সেটা   এমন     গাছ    অন্যান্য   মানুষরাও রোপন   করে।   (২)   রোপন   করেছে  কিন্তু  এ  রকম  না যেটা  মানুষ  রোপন  করে।  (৩)  কেউ  সেটাকে  রোপন  করেনি,  কিন্তু  এরকম যেটাকে লোকেরা রোপন   করে। (৪)   রোপন  করেনি,  না     ঐ   রকম  গাছ   কেউ  রোপন  করে। প্রথমত তিন প্রকারকে কাটা ইত্যাদিতে কিছু নয় অর্থাৎ জরিমানা নেই। থাকল এই  কথা সে যদি কারও দেশে  আছেন,   তাহলে    মালিক  ক্ষতিপূরন  নিবে।  ৪র্থ প্রকারে   জরিমানা   দিতে  হবে  এবং  যদি  কারও  দেশে হয়, তাহলে ক্ষতিপূরন নিবে  এবং  জরিমানা  ঐ সময়ই আছে  যখন  ভেঙ্গে  যায়   অথবা  উত্তোলনকৃত   না   হয়।  জরিমানা   এটাই   যে,   ওটার  দামের  শষ্য    মিসকীনের উপর সম্পূর্ণ করে। প্রত্যেক মিসকীনকে একটি সদ্‌কা, আর  যদি  শষ্যের  দাম   সম্পূর্ণ  সদ্‌কা  থেকে   কম  হয়, তাহলে এক মিসকীনকেই দিয়ে  দিবে। আর তার জন্য হারমের   মিসকীন   হওয়া  জরুরি নয়, আর এটাও  হতে পারে   যে    সম্পূর্ণ    মূল্যই   সদ্‌কা    করে   দেয়।     অথবা  এমনও  করা  যেতে      পারে  ঐ   মূল্যের  পশু  ক্রয  করে  হারমে   জবাই     করে    দিবে    রোযা   রাখা     যথেষ্ট   নয়। মাসআলা   ৩:  যে    গাছ   শুকিয়ে  গেছে   সেটা  উত্তোলন  করতে পারবে এবং তা দ্বারা উপকার গ্রহণ করা যাবে। মাসআলা  ৫: গাছের পাতা   ভাঙ্গলে  যদি গাছের  কোন  ক্ষতি       না       হয়,        তাহলে       কোন       অসুবিধা       নেই।  অনুরূপভাবে  যে  গাছ   বৃদ্ধি   পাচ্ছে   সেটাকেও   কাঁটলে জরিমানা   হবে  না।  যদি  মালিক  থেকে   অনুমতি  নিয়ে নেয়, তাহলে তাকে তার মূল্য দিয়ে দেয়। মাসআলা ৬: কিছু     লোক   একত্রিত   হয়ে    যদি   গাছ   কাটে,   তাহলে একজনই ক্ষতিপূরন দিবে। যা সবার   উপর  ভাগ   হয়ে  যাবে।  সবাই   মুহরিম  হোক  অথবা  মুহরিম  না   হোক,  অথবা কিছু মুহরিম হোক অথবা কিছু মুহরিম না হোক। মাসআলা ৭: হেরেমের পিলু অথবা অন্য  কোন  গাছের মিসওয়াক   বানানো   বৈধ    নয়।   মাসআলা      ৯:    নিজে অথবা জীব-জন্তু চলতে  অথবা  তাবু স্থাপন করতে কিছু গাছ  কেটে থাকে (অর্থাৎ নষ্ট হতে থাকে) তবে সমস্যা নেই। মাসআলা  ১০: ফতোয়া  এটাই  যে,  প্রয়োজনের   ক্ষেত্রে ঐখানকার ঘাস জানোয়ার কে  খাওয়ানো   বৈধ। এছাড়া    কাটা,   উপরে    ফেলা   এগুলোর   হুকুম   উহাই হবে,  যা   গাছের   এবং  শুকনা  ঘাস  ব্যতীত   তা  থেকে  প্রত্যেক  প্রকারের   উপকারীতা  অর্জন   করা  বৈধ।  খুটি ভাঙ্গাতে এবং তুলে ফেলাতে কোন সমস্যা নেই।

মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত
অতিক্রম করা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর
========
প্রশ্ন:   যদি   কোন   আফাকি   মীকাত   থেকে   ইহরাম   না  বেঁধে ওমরা করে নেয়, তবে তার হুকুম কি?

উত্তর: যদি মক্কা মুকাররমার ইচ্ছায় কোন আফাকি চলে এবং মীকাতে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করে ফেলে, তবে তার উপর দম ওয়াজিব হবে। এখন  মসজিদে আয়িশা থেকে    ইহরাম   বাঁধা    যথেষ্ট    নয়।   হয়তো    দম   দেবে অথবা  আবার মীকাত থেকে   বাইরে যাবে এবং ওখান  থেকে ওমরা ইত্যাদির ইহরাম বেঁধে  আসবে তখন দম রহিত হয়ে যাবে।

 
Top