বিষয় নং-৩: বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ﷺ) দুটি বস্তু রেখে যাওয়া:


আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা এ বিষয়ের একটি হাদিসকে স্বীকার করতে গিয়ে অন্যটিকে অস্বীকার করে বসে, অথচ দুটি হাদিসই সহীহ হিসেবে প্রমাণিত। 


ক. আহলে বায়াতের বর্ণনা:


১. ইমাম তিরমিযি (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ ؓ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ فِي حَجَّتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ القَصْوَاءِ يَخْطُبُ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا: كِتَابَ اللهِ، وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي.

-‘‘হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযূর (ﷺ) কে বিদায় হজ্জের সময় আরাফা দিবসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর কাসওয়া নাম উষ্ট্রীতে আরোহন করে খুতবারত দেখেছি। তাঁকে যখন আমি বলতে শুনেছি, হে মানুষগণ! আমি তোমাদের কাছে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি তা যদি তোমরা ধারণ কর, তবে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না, তা হলো আল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বায়াত।’’  ১৪

১৪. খতিব তিবরিযি, মিশকাত, মানাকিবে আহলে বায়াত, ৪/৫১৮ পৃ. হাদিস:৬১৫২, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৫/৮৯ পৃ. হা/৪৭৫৭, ইমাম তিরমিযী, আস্-সুনান: ৫/৬২১পৃ. হা/৩৭৮৬, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩/১৪ পৃ. ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ৩/৬৬ পৃ. হা/২৬৮০, হাদিসটি আলবানী পর্যন্ত মিশকাতের তাহকীক করতে গিয়ে সহীহ বলেছেন।


পর্যালোচনা: 


ইমাম তিরমিযী  বলেন-

وهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ.

-‘‘এ হাদিসটি হাসান, গরীব।’’ 


২. ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) আরেকটি সূত্র সংকলন করেন এভাবে-

عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَال: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الآخَرِ: كِتَابُ اللهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ. وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي، وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا.

-‘‘হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে এমন কিছু বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যদি সেসব ধারণ করে রাখো, আমার পরে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না এর একটি আরেকটির চেয়ে মহান- তা হল আল্লাহর কিতাব। আকাশ থেকে যমিন পর্যন্ত বিস্তৃত সদৃঢ় রজ্জু; আর আমার আহলে বায়াত। হাউযে কাউছারে আমার কাছে আগমন করা পর্যন্ত এরা আর বিচ্ছিন্ন হবে না কখনও। তোমরা লক্ষ্য রাখবে এতদুভয়ের ব্যাপারে তোমরা আমার পর কিরূপ ব্যবহার করছো।’’ ১৫

১৫. ইমাম তিরমিযী, আস্-সুনান: ৫/৬২২ পৃ. হা/৩৭৮৮, মুসনাদে আলী ইবনে যা‘দ, ১/৩৯৭ পৃ. হা/২৭১১, নাসাঈ, আস-সুনানুল কোবরা, ৭/৩১০ পৃ. হা/৮০৯, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৭৩৫ পৃ. হা/৬১৫৩


পর্যালোচনা:


ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) এটি সংকলন করে বলেন-

هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ.

-‘‘এ হাদিসটি হাসান, গরীব।’’ এ বিষয়ে সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদিস হলো উক্ত সাহাবী থেকে বর্ণিত সহীহ মুসলিমের বর্ণনা।


৩. ইমাম আবি আসেম (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন--

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ:  يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ فَلَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي: الثَّقَلَيْنِ ، وَأَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الْآخَرِ: كِتَابَ اللَّهِ، حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ، وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي، وَإِنَّهُمَا لَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ

-‘‘হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে এমন কিছু বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যদি সেসব ধারণ করে রাখো, আমার পরে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। এর একটি আরেকটির চেয়ে মহান- তা হল আল্লাহর কিতাব। আকাশ থেকে যমিন পর্যন্ত বিস্তৃত সদৃঢ় রজ্জু; আর আমার আহলে বায়াত। হাউযে কাউছারে আমার কাছে আগমন করা পর্যন্ত এরা আর বিচ্ছিন্ন হবে না কখনও। তোমরা লক্ষ্য রাখবে এতদুভয়ের ব্যাপারে তোমরা আমার পর কিরূপ ব্যবহার করছো।’’ ১৬

১৬. মুসনাদে আহমাদ, ১৭/১৭০পৃ. হা/১১১০৪, ও ১৭/৩০৯পৃ. হাদিস, ১১২১২ ও ১৮/১১৪ পৃ. হাদিস, ১১৫৬০, ও ১৭/৩০৮পৃ.হাদিস, ১১২১১, ইমাম আহমাদ, ফাযায়েলুল ছাহাবা:২/৫৮৫পৃ. হাদিস, ৯৯০, ইমাম আছেম, আস্-সুন্নাহ, ২/৬৪৩পৃ. হাদিস, ১৫৫৩, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৩/৩৭৪ পৃ. হা/৩৪৩৯ এবং হা/৩৫৪২, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুস সগীর, হা/৩৬৩, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, হা/১০২১, ইমাম বাগবী, শরহে সুন্নাহ, ১৪/১১৯ পৃ. হা/৩৯১৪


পর্যালোচনা:


এ হাদিসটির সনদ যঈফ; কেননা এতে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه)-এর ছাত্র ‘আতিয়্যাহ আওফী’ যঈফ রাবী।

৪. ইমাম আবি আসেম (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-

عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ ؓ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺ -: إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ خَلِيفَتَيْنِ: كِتَابَ اللَّهِ - عَزَّ وَجَلَّ - حَبْلٌ مَمْدُودٌ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ - أَوْ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ - وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي، وَإِنَّهُمَا لَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ

-‘‘হযরত যায়েদ বিন ছাবেত (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে আমার দুটি প্রতিনিধি রেখে যাচ্ছি, একটি হলো আল্লাহর কিতাব, যা আকাশ থেকে যমিন পর্যন্ত বিস্তৃত সদৃঢ় রজ্জু; আরেকটি হলো আমার আহলে বায়াত। হাউযে কাউছারে আমার কাছে আগমন করা পর্যন্ত এরা আর বিচ্ছিন্ন হবে না কখনও।’’  ১৭

১৭. ইমাম আবি আসেম, আস-সুন্নাহ, ২/৩৫১ পৃ. হা/৭৫৪, ইমাম আহমাদ, ফাযায়েলুল ছাহাবা, ২/৭৮৬ পৃ. হাদিস, ১০৩২, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ৫/১৫৩ পৃ. হা/৪৯২৩, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩৫/৪৫৬ পৃ. হা/২১৫৭৮, ইমাম ইবনে আবি শাইবা, আল-মুসান্নাফ, ৬/৩০৯ পৃ. হা/৩১৬৭৯


পর্যালোচনা:


এ সনদ প্রসঙ্গে ইমাম হাইসামী (رحمة الله) বলেন-

رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ.

-‘‘ইমাম আহমদ (رحمة الله) হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, সনদটি শক্তিশালী।’’ (হাইসামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৯/১৬৩ পৃ. হা/১৪৯৫৭)


৫. ইমাম মুসলিম (رحمة الله) আহলে বায়াতের শব্দে হযরত যায়েদ বিন আরকাম (رضي الله عنه)-এর হতে একটি সূত্রে বর্ণনা বর্ণনা করেছেন। 

(ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ৪/১৮৭৩ পৃ. হা/২৪০৮, পরিচ্ছেদ: بَابُ مِنْ فَضَائِلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ) 


খ. দ্বিতীয় বিষয় ‘আস-সুন্নাহ’-এর বর্ণনা:


সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! এবার আমি দ্বিতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।


১. ইমাম খতিব তিবরিযি (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَن مَالك بن أنس مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ:  تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ . رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ

-‘‘হযরত মালেক ইবনে আনাস (رحمة الله) হতে (মুরসাল রূপে) বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা তা আকড়ে ধরে রাখো তাহলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমি নবীর সুন্নাহ্।’’ 

(ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৬৬ পৃ. হা/১৮৬, ইমাম মালেক, আল-মুয়াত্তা, ৫/১৩২৩ পৃ. হা/৬৭৮ (আজমী সম্পাদিত), পরিচ্ছেদ: بَابُ النَّهْيِ عَنِ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ ) 


এ হাদিসটি মুরসাল; তবে বাস্তবতা হলো এটি ডাবল মুরসাল, কেননা ইমাম মালেক বিন আনাস (رحمة الله)-এর সাথে কোন সাহাবীর সাক্ষাত ঘটেনি।


২. ইমাম হাকেম নিশাপুরী (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ؓ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ شَيْئَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُمَا: كِتَابَ اللهِ وَسُنَّتِي

-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা তা আকড়ে ধরে তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব, আমি নবীর সুন্নাহ্।’’  ১৮ এই হাদিসটির সনদও সহীহ।

১৮. ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, ১/১৭২ পৃ. হা/৩১৯


৩. ইমাম হাকেম নিশাপুরী (رحمة الله) আরেকটি হাদিস সংকলন করেন-

عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؓ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ خَطَبَ النَّاسَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، .....يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تَضِلُّوا أَبَدًا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ  ﷺ

-‘‘ইকরামা তিনি সাহাবী ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বিদায় হজ্জের ভাষণের সময় মানুষদেরকে লক্ষ করে বলেছেন, হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা আঁকড়ে ধরে রাখ তাহলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। এক আল্লাহর কিতাব, ২. সুন্নাতে নবী (ﷺ)।’’  ১৯

ইমাম হাকেম  এই সনদটিকে সহীহ বলেছেন আর ইমাম যাহাবী  তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। 

১৯. ইমাম হাকেম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক, ১/১৭১ পৃ. হা/৩১৮, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ১০/১৯৪পৃ. হা/২০৩৩৬, ইমাম মারুজী, আস-সুন্নাহ, হা/৬৮, ইমাম বায়হাকী, আল-ইতিকাদ, ১/১২৮ পৃ.


৪. ইমাম মালেক ও ইমাম আবু শায়খ ইস্পাহানী (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ؓ, قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : لَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنَّ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا: كِتَابَ اللهِ، وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ ﷺ

-‘‘হযরত মালেক ইবনে আনাস (رحمة الله) বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা তা আকড়ে ধরে তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব, আমি নবীর সুন্নাহ।’’ ২০

মুরসাল সহীহ আরেকটি সনদ বর্ণিত আছে। 

২০. খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবীহ, ১/৬৬ পৃ. হা/১৮৬, মুয়াত্তায়ে মালেক, হা/৩, আব্দুল বাকি সম্পাদিত, ইমাম আবু শায়খ ইস্পাহানী, তবকাতুল মুহাদ্দিসীন, ৪/৬৭ পৃ. এবং তারিখে ইস্পাহান, ১/১৩৮ পৃ.


৫-৬. ইমাম ইবনুল বার (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ ﷺ

-‘‘হযরত কাসির ইবনে আব্দুল্লাহ তিনি তার পিতা থেকে তিনি তার দাদা থেকে তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা আঁকড়ে ধরে রাখ তাহলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। এক আল্লাহর কিতাব, ২. সুন্নাতে নবী (ﷺ)।’’ ২১

২১. ইমাম ইবনুল বার, জামিউল বায়ানুল ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী, ১/৭৫৫ পৃ. হা/১৩৮৯


তিনি হুবহু এই মতনে আরেকটি সূত্র সংকলন করেন। ২২

২২. ইমাম ইবনুল বার, জামিউল বায়ানুল ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী, ১/৭৫৬ পৃ. হা/১৩৯০


এ সনদটি যঈফ, কেননা সনদে ‘কাসির ইবনে আব্দুল্লাহ’ যঈফ রাবী।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, বিষয় দুটিই সহীহ হাদিসের আলোকে প্রমাণিত, কোনোটিকেই অস্বীকার করা যাবে না।

 
Top