27 - بَابُ مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنْ إِنْشَادِ الضَّالَّةِ فِي الْـمَسْجِدِ

93 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ : أَنَّ النَّبِيَّ  سَمِعَ رَجُلًا يَنْشُدُ جَمَلًا فِي الْـمَسْجِدِ، فَقَالَ: «لَا وَجَدْتَ». وَفِيْ رِوَايَةٍ: سَمِعَ رَجُلًا يَنْشُدُ بَعِيْرًا، فَقَالَ: «لَا وَجَدْتَ، إِنَّ هَذِهِ الْبُيُوْتَ بُنِيَتْ لِـمَا بُنِيَتْ لَهُ». وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّ رَجُلًا اِطَّلَعَ رَأْسَهُ فِي الْـمَسْجِدِ، فَقَالَ: مَنْ دَعَا إِلَى الْـجَمَلِ الْأَحْمَرِ، فَقَالَ لَهُ : «مَا وَجَدْتَ، إِنَّمَا بُنِيَتْ هَذِهِ الْـمَسَاجِدُ لِـمَا بُنِيَتْ لَهُ».


বাব নং ৪২. ২৭. মসজিদে হারানো বস্তুর অন্বেষণ করা নিষেধ


৯৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি ইবনে বুরাইদা থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ)  কোন এক ব্যক্তিকে মসজিদে তার উট খোঁজ করতে শুনেন, সে মসজিদে তার হারানো উটের ঘোষণা দিচ্ছে। তখন তিনি বললেন, তুমি যেন (উট) না পাও। 

অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ)  শুনেন যে, এক ব্যক্তি মসজিদে তার উট খোঁজ করছে। তখন তিনি বলেন, তুমি তা যেন না পাও। নিশ্চয়ই এই ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ঐ কাজের জন্য, যে কাজের জন্য এটা নির্মাণ করা হয়েছে।

অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, এক ব্যক্তি মসজিদে তার মাথা প্রবেশ করিয়ে বলে- কে আমার হারানো লাল উটের সন্ধান দিতে পারবে? তখন রাসূল (ﷺ)  বলেন, তুমি তোমার উট না পাও, নিশ্চয়ই মসজিদ ঐ কাজের জন্য, যে কাজের জন্য তা তৈরী করা হয়েছে। (মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বা, ২/৪১৯/৭৯৮৮)

ব্যাখ্যা: হাদিসের সহীহ কিতাব সমূহের মধ্যে এই হাদিস বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। দারেমী হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) হতে মারফু রেওয়ায়েত করেন যে, রাসূল (ﷺ)  বলেছেন, যদি তোমরা কাউকে মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখ, তাহলে তাকে বল আল্লাহ তোমার ব্যবসায় লাভ না দিন। অথবা যদি কেউ মসজিদে তার হারানো উট খোঁজ করে, তাহলে তাকে বল, আল্লাহ যেন তোমার হারিয়ে যাওয়া বস্তু ফিরিয়ে না দেন বা তুমি যেন তা না পাও।

রাসূল (ﷺ)  إِنَّ هَذِهِ الْبُيُوْتَ بُنِيَتْ لِـمَا بُنِيَتْ لَهُ দ্বারা নিষেধাজ্ঞার একটি সীমা নির্ধারণ করেছেন যে, যেসব কাজ মসজিদ নির্মাণের পরিপন্থী হবে, তা শরীয়তের দৃষ্টিতে মসজিদে না জায়েয ও হারাম। মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো, নামায পড়া, আল্লাহর যিক্র করা। সুতরাং যে কাজ এ উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হবে কিংবা এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, তা কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং এর উপর কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যেমন মসজিদে দুনিয়াবী কথা-বার্তা বলা, হস্তশিল্পের কাজ করা অথবা এরূপ আওয়াজে কথা বলা যাতে মুসল্লীদের নামাযে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কোন কোন ওলামায়ে কিরাম মসজিদে উচ্চস্বরে যিক্র করতেও নিষেধ করেছেন। 

মোটকথা, এ হাদিস দ্বারা মসজিদে কোন হারানো বস্তু খোঁজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 
Top